ফ্রান্স ইউরোপের প্রথম দেশ, যেখানে আইন করে হিজাব, ওড়না বা মুখোশ পরে চলাফেরা করাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।আর করোনা আতঙ্কে সে ফ্রান্সেই এবার মুখোশ না পরে বা মুখ না ডেকে চলাফেরা করলেই ১৫০ ইউরো জরিমানার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
২০১১ সালের ১ এপ্রিল থেকে ইউরোপের দেশ ফ্রান্সে সাধারণ জনসাধারণের চলাচলের রাস্তায় চলাফেরা করার সময় ওড়না বা মুখোশ পরা আইনগতভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
করোনায় আক্রান্ত শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে অন্যতম ফ্রান্স। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৪ হাজার ৪৬৯ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ৯১ জন।
করোনা আতঙ্কে ফ্রান্সের বিখ্যাত ‘প্যারিস ফ্যাশন সপ্তাহে’ মডেলরা মুখোশ পরেই অংশগ্রহণ করেন। মডেলদের পরিহিত মুখোশগুলো মুসিলম নারীরা সাধারণত হিজাব হিসেবে ব্যবহার করেন।
শুধু ফ্রান্সেই নয়, বিশ্বের অনেক দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় নারী মডেল থেকে শুরু করে সবাই এখন মুখোশ পরছেন। নিরাপত্তার প্রতি লক্ষ্য রেখেই তারা এ মুখোশ পরছেন। কিন্তু ফ্রান্স সবার জন্য মুখোশ পরাকে বাধ্যতামূলক করতে ১৫০ ইউরো জরিমানার আইন জারি করেছে।
২০১১ সালে নারীদের ওড়না বা মুখোশ পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় ফ্রান্সের এ সিদ্ধান্তকে নিন্দা জানিয়েছিল সারা বিশ্বের মুসলমানরা। সে সময় এ আইনকে ফ্রান্সে বসবাসরত মুসলমান নারীদের ওপর নিপীড়নের উপায় হিসেবেও অভিহিত করা হয়েছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন