শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

‘গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলা ইসলাম-মুসলমানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত’

প্রকাশের সময় : ১৩ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলা চালিয়ে যারা নিরীহ মানুষ হত্যা করেছে তারা ইসলাম ও মানবতার দুশমন। এরূপ সন্ত্রাস দমন বাংলাদেশের পক্ষেই সম্ভব। যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করে তাদের নেপথ্য কারিগরদের নিশ্চিহ্ন করতে হবে। বিদেশি শক্তিকে ডেকে আনলে বিপরীত ফলাফল আসতে পারে। বিভিন্ন ইসলামী নেতৃবৃন্দ গতকাল পৃথক পৃথক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন।
কওমী শিক্ষা বোর্ড (বেফাক)
শান্তি ও সম্প্রীতির ইসলাম ধর্মের সাথে উগ্রতা ও সন্ত্রাসের কোনো সম্পর্ক নেই। বেফাক সব সময়ই এ জাতীয় কর্মকা-ের বিরুদ্ধে অবস্থান পরিষ্কার করে আসছে। সকল নাশকতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করে বেফাক। অনেক দিন থেকে কিছু জ্ঞানপাপী বুদ্ধিজীবী অযথাই কওমী মাদরাসার শিক্ষা ব্যবস্থাকে দোষারোপ করে আসছিলেন। এখন তাদের এহেন অপপ্রচরের মুখোশ জাতির সামনে উন্মোচিত হয়েছে। কোনো অন্যায় ও সন্ত্রাসের সাথে কওমী শিক্ষা ব্যবস্থার কোনো সম্পর্ক নেই। কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড (বেফাক)-এর মহাসচিব মাওলানা আবদুল জব্বার জাহানাবাদী এক বিবৃতিতে একথা বলেন। তিনি বলেন, জাতির এই ক্রান্তিকলে রাজনৈতিক মতপার্থক্য ভুলে গিয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।
ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটি
ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটির আমির মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস ও মহাসচিব মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী আজ এক বিবৃতিতে বলেছেন দেশের দুঃসময়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে জঙ্গিবাদসহ সকল সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে।
তারা বলেন, যারা গুলশানে ও শোলাকিয়ায় হামলা চালিয়ে নিরীহ মানুষ হত্যা করেছে তারা মানবতার ও ইসলামের দুশমন। এদের শিকড় খুঁজে বের করে নেপথ্য কারিগরদের বিচার করতে হবে। নেতৃদ্বয় বলেন, সন্ত্রাস দমলে বাংলাদেশ একাই যথেষ্ট। সা¤্রাজ্যবাদসহ কোনো বিদেশি শক্তিকে এ বিষয়ে নাক গলাতে দেয়া যাবে না। এটা দেশের জন্য উপকার নয় বরং বিপরীত ফল বয়ে আনবে। তাই সরকারকে ভেবে চিন্তে কাজ করতে হবে।
বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ
বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের উদ্যোগে জঙ্গি-সন্ত্রাসবিরোধী মানববন্ধন, সমাবেশ, আলোচনা ও পতাকা মিছিল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত হয়।
বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি লায়ন মো. গণি মিয়া বাবুল-এর সভাপতিত্বে আলোচনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আলহাজ মিছবাহুর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ডের ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত কাদির গামা ও সংগঠনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. তোফাজ্জল হোসেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ সকল দেশপ্রেমিক নাগরিকদের জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে এই বিপর্যয় থেকে উত্তরণ ঘটাতে হবে। ইসলাম শান্তির ধর্ম। যারা ইসলামের নাম ব্যবহার করে সন্ত্রাসী ও জঙ্গি কার্যক্রমে লিপ্ত তারা ইসলাম ও মানবতার শত্রু। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের কোনো ধর্ম নেই। সকল মুসলমান ভাই-বোনের ঈমানী দায়িত্ব এদেরকে প্রতিরোধ করা। এজন্যে প্রতিটি পাড়ায়, মহল্লায়, জেলা-উপজেলায় জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী কমিটি গঠন করা আবশ্যক।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন