করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের পক্ষ থেকে বারবার ঘোষণার পরও মানুষকে ঘরে রাখা যাচ্ছে না। সারাদেশের হাটবাজার ও টোংদোকানে এখনও মানুষকে আড্ডা আর খোশগল্পে মেতে উঠতে দেখা যাচ্ছে। বাধ্য হয়ে মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) রাত থেকে পুলিশকে কঠোর হতে দেখা গেছে। কোথাও কোথাও লাঠিচার্জ করে মানুষকে ঘরে যেতে বাধ্য করেছে। দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাজধানী ও দেশের বিভিন্ন নগর, এলাকা, হাটবাজারে পুলিশকে টহল দিতে দেখা গেছে। অপ্রয়োজনীয় দোকান বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়া বাইরে হাঁটাহাঁটি ও আড্ডারত মানুষকে ঘরে যেতে বাধ্য করেছে।
ঢাকা মহানগরীর মিরপুর মডেল থানা যেসব বাড়িতে প্রবাসী রয়েছেন, সেসব বাড়িতে ব্যানার টাঙিয়ে দিয়েছে।
শেরেবাংলা নগর থানা বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে সবাইকে ঘরে থাকতে অনুরোধ করেছে। রাস্তার পাশের টোংদোকান না খোলার জন্য অনুরোধ করেছে।
এছাড়াও ডিএমপির তেজাগাঁও বিভাগের আদাবর, মোহাম্মদপুর এলাকায় পুলিশ হ্যান্ড মাইক দিয়ে ঘোষণা দিয়ে মানুষকে বাসায় থাকার আহ্বান জানিয়েছে। দুই-একটি সড়কে লাঠিচার্জও করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৫ মার্চ) থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশ জলকামান দিয়ে মহানগরীতে জীবানুনাশক ছিটাবে। প্রতিদিন দুই বেলা করে শহরে পুলিশ নিজ উদ্যোগে এ জীবানুনাশক ছিটাবে।
অপরদিকে, গুলশান, বনানী, ধানমন্ডির বিভিন্ন সড়ক ও হাউজিংয়ে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
বিভিন্ন জেলা প্রশাসক জেলায় জেলায় নিজেরাই মাইকিং করে নাগরিকদের ঘরে থাকতে বলেছেন। বরগুনা জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ শহরের বিভিন্ন সড়কে মাইকিং করে মানুষকে ঘরে থাকার অনুরোধ করেন।
দিনে এই ঘোষণার পর সন্ধ্যায় মানুষকে শরহরের বিভিন্ন সড়কে ও চায়ের দোকানে অপ্রয়োজনে আড্ডা দিতে দেখা যায়। এরপর রাতে পুলিশ নামে। পুলিশ সদস্যরা একযোগে হ্যান্ডমাইকে ঘোষণা দিয়ে সবাইকে দ্রুত বাসায় যেতে বলেন। এ সময় মৃদু লাঠিচার্জও করতে দেখা যায়।
মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সবাইকে সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সবাই ঘরে অবস্থান করুন।’ এই সংকটময় পরিস্থিতিতে আতঙ্ক কিংবা গুজব না ছড়িয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন