স্টাফ রিপোর্টার : সরকার উৎখাতে বিএনপি-জামায়াত চক্র বিভিন্ন ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।
দেশে যেসব ঘটনা ঘটছে এর দায় বিএনপি-জামায়াতকেই নিতে হবে দাবি করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে আইএস অথবা তালেবানদের কোন অস্তিত্ব নেই। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ধর্মযাজক, দেশি-বিদেশি নাগরিক হত্যা এবং সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূলের লক্ষ্যে শ্রমিক কর্মচারী পেশাজীবী মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ ও আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলন আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
শাজাহান খান বলেন, আইএস বা তালেবান জঙ্গিরা এ ভাবে মানুষ হত্যা করে না। তারা আত্মঘাতী হয়। কুড়াল বা তলোয়ার দিয়ে কোপানো ও মানুষ হত্যা করা জামায়াত-শিবিরের কাজ। এ কারণে স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে এ মন্ত্রী বলেন, আপনি (খালেদা জিয়া) চোখ বুজে আছেন, আর ভাবছেন কেউ আপনার চক্রান্ত বুঝতে পারছে না। গোপনে মোসাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভাবছেন এভাবে ক্ষমতায় যেতে পারবেন। বেগম জিয়া ক্ষমতায় যাবার জন্য পাগল হয়ে গিয়েছেন। তিনি ও জামায়াত শেখ হাসিনাকে উৎখাত করে ক্ষমতায় যেতে চান। তার সে স্বপ্ন সফল হবে না।
তিনি বলেন, যারা দেশে হত্যাকা- করছে এর দায় দায়িত্ব বেগম জিয়াকে নিতে হবে। ২০১৪-১৫ সালে বেগম জিয়ার হত্যাকা- মোকাবেলা করেছি, তার জঙ্গি খেলাও মোকাবেলা করবো।
নৌ-মন্ত্রী বলেন, যারা পবিত্র রোজা মানে না, যারা ঈদ মানে না তারা কিভাবে ইসলামকে রক্ষা করবে আমরা তা জানি না। রোজার সময় গুলশানে হামলা করে যারা ২৪ জন লোককে হত্যা করেছে তারা ইসলামের ধ্বংস চায়। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ঈদ জামায়াতে ঈদের দিন যারা হামলা করে তাদেরকে আমরা মুসলমান বলবো? তিনি আরও বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামায়াতে হামলার নমুনা আইএস বা আল কায়েদার মত নয়। আইএস বা আল কায়েদা আত্মঘাতী বোমা হামলা করে, তরবারি দিয়ে জবাই করে মানুষ হত্যা করে। কিন্তু গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলাকারীরা হাত-পায়ের রগ কেটে মানুষ হত্যা করেছে। সন্ত্রাসী সংগঠন জামায়াত-শিবিরই এসব হামলা করেছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ ইস্যুতে কোনো আপস না করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান এই মন্ত্রী।
ঢাকাসহ সারাদেশে বিভিন্ন মতবিনিময় সভা, সেমিনার ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে জনগণকে জাগ্রত করে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও গুপ্তহত্যাকে প্রতিহত করা হবে বলেও জানান শাজাহান খান। তিনি বলেন, আগামী ১৯ জুলাই থেকে বাংলাদেশে আমরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে জঙ্গী বিরোধী মত বিনিময় করবো। ওইদিন থেকে আমাদের কর্মসূচি শুরু হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইসমত কাদির গামা, ওসমান আলী, বিদ্যুত শ্রমিক লীগের আলাউদ্দিন মিয়া, অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের আসাদুজ্জামান দুর্জয়, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন