মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আইনের মাধ্যমেই সন্ত্রাসীদের শেষ পরিণতি : মতিয়া চৌধুরী

প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, আমরা বিজয়ী জাতি। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা বিজয়ী হবোই। জঙ্গিরা মানুষ না, মুসলমানও না। এরা মানুষরূপী শয়তান। এদেরকে বাংলার মাটি থেকে উৎখাত করতে হবে।
গতকাল বুধবার বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আওয়ামী যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত ‘সন্ত্রাস-নৈরাজ্য জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও’ শীর্ষক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। মতিয়া চৌধুরী বলেন, এসব সন্ত্রাসীদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে। আইনের মাধ্যমেই একদিন তাদের শেষ পরিণতির দিকে যেতে হবে। এদেশে যুদ্ধাপরাধী, বঙ্গবন্ধুর খুনির বিচার হয়েছে। সন্ত্রাসীদেরও বিচার হবে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, গুলশানের জঙ্গি হামলার পর তিনি (খালেদা জিয়া) বলেন রক্তাক্ত অভ্যুত্থান হয়েছে। আবার তিনি সুর বদলিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চান। এর মানে কি? এগুলোর সাথে তার হাত আছে। কারা এই জঙ্গিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে, লালন করছে। এই জঙ্গিবাদের বিষাক্ত দাঁত বাংলাকে আচ্ছন্ন করছে, রক্তাক্ত করছে। খালেদা জিয়া অভ্যুত্থান দেখা আপনার একটা স্বপ্ন বিলাস।
তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ যে কত খারাপ তার প্রমাণ মিলেছে শোলাকিয়ায় হামলাকারী জঙ্গির লাশ তার মা-বাবাও নিতে আসেনি। তারা ছেলের অপকর্মের লজ্জা, ঘৃণায় লাশ পর্যন্ত আনতে যায়নি। জঙ্গিরা মানুষ না, মুসলমানও না। এরা মানুষরূপী শয়তান। এই শয়তানদের বাংলার মাটি থেকে উৎখাত করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা বিজয়ী জাতি। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা বিজয়ী হবোই।
মতিয়া বলেন, জঙ্গি-সন্ত্রাসদের প্রতিরোধ করতে হলে নিজ নিজ জায়গায় থেকে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে যুব সমাজ এগিয়ে আসলে জঙ্গিবাদ নির্মূল করা সম্ভব হবে। দেশের শহর-বন্দর, পাড়া-মহল্লায় জঙ্গি-সন্ত্রাস প্রতিরোধের জন্য যুব সমাজকে এগিয়ে আসার জানিয়ে পাড়া-মহল্লায় সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকা- যারা করে তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে সোপর্দ করার জন্য যুবলীগের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন তিনি। তিনি বলেন, আপনারা এগিয়ে এসে তথ্য দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করুন।
সমাবেশে প্রধান বক্তা যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী সংগঠনটির নেতাকর্মীদের সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ রুখে দাঁড়াতে শপথ করান। তিনি বলেন, রমজান মাস পবিত্র মাস। এবাদতের মাস। এই মাসে গুলশানে-আবার শোলাকিয়ায় ঈদের জামায়াতে কি ভয়াবহ কা--তাও ইসলামের নামে। এই বর্বরতার মাধ্যমে ইসলামের নামে কলংক আনছে কারা? ইসলাম ধর্মে রমজান মাসকে এতটাই পবিত্রতা দান করা হয়েছে, এই মাসে সর্ব প্রকার বিরোধ ও শত্রুতা থেকে বিরত থাকার জন্য মুসলমানদের ওপর নির্দেশ রয়েছে। এই মাসে স্বয়ং মহানবী (স.) তার শত্রুপক্ষের সঙ্গে যুদ্ধ করা থেকে বিরত থাকতেন। প্রথম ক্রুসেডের যুদ্ধে মুসলমানরা খ্রিস্টানদের সঙ্গে এক মাসের যুদ্ধ বিরতির সন্ধি করেছিলেন। আর বাংলাদেশে এবারের শাওয়ালের চাঁদকে কারা রক্তমাখা বাঁকা তরবারি করল?
তিনি বলেন, অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বানালো কারা ? সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনা ঘটাতে চাচ্ছে কে? বেগম খালেদা জিয়া।
ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, খালেদা-তারেকের বিএনপি হল জঙ্গীবাদ এবং ইহুদীবাদের এক বিষাক্ত মিশ্রণ, যা সভ্যতা, অগ্রগতি ও প্রগতির ঘাতক। তাই আসুন আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করাই এবং সেজন্য জনমত গঠন করি। বাঙ্গালীর শেষ ঠিকানা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিশ্বশান্তির দর্শন জনগণের ক্ষমতায়নই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
ঢাকা দক্ষিণ শাখা যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, ঢাবির শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ কামাল, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশীদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব সাইফুজ্জামান শেখর, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমা আক্তার, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল, সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শাবান মাহমুদ, ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন