শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

চট্টগ্রামে নেংটা ফকিরসহ জোড়া খুন মামলায় জেএমবি জঙ্গির বিচার শুরু

প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : নগরীর বায়েজিদে নেংটা ফকিরের কথিত আস্তানায় জোড়া খুনের মামলায় এক জেএমবি জঙ্গির বিচার শুরু হয়েছে। আগামী ২৬ জুলাই এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. শাহেনূরের আদালতে জেএমবি সদস্য সুজন ওরফে বাবুর (২৮) বিরুদ্ধে সম্প্রতি অভিযোগ গঠন করা হয়। এ ঘটনায় করা হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের দুটি মামলাতেই আগামী ২৬ জুলাই সাক্ষ্যের দিন রাখা হয়েছে বলে আদালতের রাষ্ট্রপক্ষেও কৌঁসুলি (পিপি) ফখরুদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দুটি মামলাতেই ২৫ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। আগামী ২৬ জুলাই শুনানিতে মামলার বাদীর সাক্ষ্য নেয়া হবে। ২৩ জুন জেএমবি সদস্য সুজনকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল বলে জানান তিনি।
ওইদিন সুজন নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন জানিয়ে পিপি বলেন, হত্যা মামলায় কোনো আইনজীবী নিয়োগ করবে কিনা জানতে চাইলে সে না-সূচক জবাব দেয়। সুজন কোনো আইনজীবী নিয়োগ না দিলে আইন অনুসারে রাষ্ট্রপক্ষ তার জন্য একজন আইনজীবী নিয়োগ করবে বলে জানান পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী। তার হয়ে ওই আইনজীবী মামলাটি পরিচালনা করবেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সন্তোষ চাকমা গত ৭ মার্চ আদালতে ওই দুই মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগপত্রে জেএমবি সদস্য সুজনকেই আসামি করা হয়। এছাড়া ঘটনার দিন বায়েজিদ এলাকা থেকে আটক আবদুল মান্নান ওরফে মনাকে (৪০) অব্যাহতির সুপারিশ করা হয় অভিযোগপত্রে। সুজন ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর থানার হরিণদিয়া মাদ্রাসাপাড়া গ্রামের মোমিনুল ইসলামের ছেলে। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের আকবর শাহ ও কর্ণফুলী এবং ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর থানায় মোট পাঁচটি মামলা আছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে বায়েজিদ থানার শেরশাহ বাংলাবাজারের পূর্বাচল এলাকায় ‘নেংটা মামু’র কথিত মাজারে দু’জনকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। নিহতরা হলেনÑ মাজারের ফকির রহমত উল্লাহ (৬০) এবং তার খাদেম মো. আব্দুল কাদের (৩০)। এ সময় স্থানীয়রা ধাওয়া করলেও হাতবোমা ফাটিয়ে পালিয়ে যায় খুনি। এ ঘটনার পর গত বছরের ৫ অক্টোবর নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সামরিক শাখার প্রধানসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার কওে গোয়েন্দা পুলিশ।
গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর নগরীর সদরঘাটে ছিনতাই ও খুনের ঘটনার তদন্তে গিয়ে পুলিশ ওই পাঁচ জেএমবি সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালে এক জেএমবি সদস্য ফকিরের আস্তানায় খুনের ঘটনায় সুজনের সম্পৃক্ততার বিষয়টি পুলিশকে জানায়। মাজারে খুনের ঘটনায় নিহত খাদেমের ভাই নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ঘটনার সময় বোমা বিস্ফোরণ ঘটানোয় ওই মামলায় বিস্ফোরক আইনের ধারাও সংযুক্ত করে পুলিশ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন