করোনাভাইরাস যেমন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে, তেমনি ছড়িয়ে পড়েছে নানা আতংক ও উদ্ধিগ্নের খবরও। তাছাড়া রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে যাওয়াতে স্বাভাবিকভাবেই মানুষের উদ্বেগ দিনের পর দিন বাড়ছে। অনেক পিতা মাতা শিশুদের এ থেকে পরিত্রান পেতে উপায় খুঁজছেন আবার পিতা-মাতারা চিন্তিত ও আতংকিত হয়ে যাচ্ছেন। শিশুদের নিয়ে আশার আলো হলো সাম্প্রতিক কয়েকটি গবেষণায় লক্ষ্যণীয় শিশুদের করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের হার খুবই কম। তারপরও এ নিয়ে একটু বাড়তি সচেতনতা আমাদের সবাইকে এই ভাইরাসের মুক্ত রাখতে পারে। পরিবারের মা-বাবা যদি একটু সচেতন হয়ে কোমলমতি শিশুদের সুস্থ্য থাকার কৌশল গুলো শিখিয়ে দেন তাহলে শিশুরা সহজেই এ থেকে পরিত্রান পেতে পারে।
রোগটি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনা : সাধারনত মনে করা হয় শুকর, ইদুর, বানর, হনুমান, খরগোস, বাঁদুড়, সাপ ইত্যাদি আক্রান্ত প্রাণি থেকে ভাইরাস মানব দেহে প্রবেশ করে এবং বাতাসের মাধ্যমে, একে অপরে ঘনিষ্ঠ সাক্ষাৎ বা কোলাকোলি, করমর্দন ইত্যাদির মাধ্যমে সংক্রমিত বস্তুর সংস্পর্শে ছড়ায় বা সংক্রমিত হয়। তাই পরিবারের প্রথম উচিৎ এ সমস্ত প্রাণি থেকে দুরে থাকা।
পরিবার ও শিশুদের সচেতনতায় যা করনীয়:
প্রয়োজনে বাইরে গেলে বা শিশুদের নিয়ে গেলে আপনি নিজে মাস্ক ব্যবহার করুন এবং শিশুদের ব্যবহার করার অভ্যাস করুন।
আপনি প্রচুর ফলের রস ও পানি পান করুন শিশুদের অভ্যাস করুন।
বাহির থেকে সন্তান বাসায় ফিরার পর শিশুকে ভালোভাবে হাত, পা ধোয়ার অভ্যাস করান।
ডিম, মাছ, মাংস, সবজি রান্না করার পূর্বে ভালো করে ধুয়ে নিন ও পর্যাপ্ত সিদ্ধ করুন তারপর শিশুকে পরিবেশন করুন।
আপনার শিশুর কাপড় নিয়মিত ধুয়ে রাখুন এবং কাপড় রোদে শুকানো বা আয়রন করুন।
আপনার শিশুর থাকার ঘর পরিস্কার রাখুন।
সাবান পানি দিয়ে আপনার ও শিশুর ঘনঘন হাত পরিস্কার করুন।
ঠান্ডাজনিত কারণে পরিবারে কেউ হাঁচি বা কাশি দেওয়ার সময় হাতের কনুই এর ভাঁজে বা টিস্যু দিয়ে মুখ ও নাক ঢাকুন।
হাঁচি-কাশির ও জ্বরের সময় শিশুদের কাছ থেকে দুরে থাকুন এবং এ সময়ে আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে আপনি ও আপনার শিশু ১ মিটার থেকে ৩ মিটার দূরত্ব বজায় রাখুন।
অপরিষ্কার হাত দিয়ে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন এবং পরিচিত বা অপরিচিত ব্যক্তির সাথে হাত মেলানো বা আলিঙ্গন করা থেকে বিরত থাকুন এবং শিশুকে এ সম্পর্কে ধারনা দিন।
আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে নিরাপদ দূরত্বে আপনি ও আপনার শিশুকে রাখুন। আপনার ব্যবহৃত টিস্যু বন্ধ বিনে ফেলুন বেং ওয়ান টাইম ব্যবহৃত মাস্ক বন্ধ বিনে ফেলুন এবং এগুলো দ্রুত সরিয়ে ফেলুন এবং শিশুকে এসব বিষয়ে সচেতন করুন।
অধ্যাপক (ডাঃ) মনজুর হেসেন
শিশুরোগ ও শিশু হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ
সাবেক পরিচালক,শিশু হাসপাতাল
ডাঃ মনজুর’স চাইল্ড’স কেয়ার সেন্টার
৮৪/১(৩য়তলা), রোড ৭/এ, সাতমসজিদ রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা- ১২০৯ ।
মোবাইল-০১৭১১৪২৯৩৭৩।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন