ইনকিলাব ডেস্ক : মিয়ানমারে অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় পর যাত্রা শুরু করেছে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নতুন পার্লামেন্ট। উদ্বোধনী অধিবেশনে এরই মধ্যে শপথ নিয়েছেন কয়েকশ’ নতুন এমপি। বেশিরভাগই গণতান্ত্রিক নেত্রী অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি)।
সু চি’র দলের সঙ্গে কয়েকটি ছোট পার্টির এমপি’রাও গতকাল শপথ নিয়েছেন। এরপর তারা আসন গ্রহণ করেন। এর মধ্য দিয়ে গত বছর নভেম্বরে মিয়ানমারে অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে জয়ী এমপি’রা এই প্রথম পার্লামেন্ট অধিবেশনে যোগ দিলেন। তারা এখন দেশের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনসহ আরও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন ও ভোট দেবেন। নভেম্বরের নির্বাচনে সু চি’র দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) বিপুল ভোটে জয়লাভ করে।
সু চি নিজ আসনে জয়লাভ করা ছাড়াও এনএলডি নির্বাচনের প্রায় ৮০ শতাংশ আসন দখল করে। কিন্তু মিয়ানমারের জান্তা আমলের সংবিধান অনুযায়ী, সংসদের একচতুর্থাংশ আসন সেনাবাহিনীর দখলে থাকছে। বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ও তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। একারণে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করতে হবে এনএলডি’কে।
এদিকে গতকাল মিয়ানমারের পার্লামেন্টে স্পিকার নির্বাচন করা হয়েছে। এনএলপিড’র ইউ উইন মিইন্ট হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ (লোয়ার হাউজ)-এর স্পিকার এবং ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি ইউএসডিপি’র এমপি ইউ টি খুন মিয়াত ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন। ৫ বছরের জন্য পার্লামেনট অধিবেশন শুরুর পরপরই তাদের নির্বাচিত করা হয়।
শপথ নেবার পর প্রথম ভাষণে মি ইউ উইন মিইন্ট বলেন, আজকের দিনটি মিয়ানমারের রাজনৈতিক ইতিহাসে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে একটি সম্মানজনক দিন। তিনি দেশের মানুষের মানবাধিকার সংরক্ষণ ও উন্নয়নে তার প্রচেষ্টা চালানোর অঙ্গিকার করেন। তিনি উদীয়মান গণতান্ত্রিক পদ্ধতি সুদৃঢ়করণ, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সত্যিকার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা তৈরিতে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। Ñসূত্র : বিবিসি
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন