স্টাফ রিপোর্টার : বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে জঙ্গি সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর বাইরে এই প্রতিষ্ঠানটির আরো কয়েকজন শিক্ষকের জঙ্গি সম্পৃক্ততার স্পষ্ট প্রমাণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে আছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। নর্থ সাউথ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও ইংরেজি মাধ্যমের ২৩টি প্রতিষ্ঠানকে নজরদারিতে রেখেছে সরকার। গতকাল (বৃহস্পতিবার) নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বসুন্ধরা ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) একটি তদন্ত দলের পরিদর্শন বিষয়ে তিনি একথা বলেন। এ দলের নেতৃত্বে ছিলেন বুয়েটের শিক্ষক প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম। গত বছরের তদন্ত কার্যক্রমের সুপারিশ কতটা বাস্তবায়ন হয়েছে সেটা জানার জন্য এটি নিয়মিত পরিদর্শন হলেও জঙ্গি ইস্যুটি সামনে আসায় এ বিষয়েও নতুন করে তদন্ত করেছে দলটি। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরবর্তীতে এসব বিষয় সম্পর্কে আমাদের জানাতে বলেছিলাম তাদের। কিন্তু তারা কিছু উত্তর দেয়নি। সেই তথ্যগুলো আমাদের কাছে আছে। তারা উপলব্ধি করবে এমনটা ভেবেই আমরা এসব বিষয় পাবলিক করিনি। তিনি জানান, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই গোয়েন্দা সংস্থাগুলো একাধিক প্রতিষ্ঠানকে নজরদারিতে রেখেছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে সব ধরনের তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, গোয়েন্দারা নজর রাখছে। তাদের কাছ থেকেই আমরা তথ্য পেতে পারি। নর্থ সাউথ বা স্কলাস্টিকা বলছে, যে জঙ্গিরা তাদের ছাত্র ছিল। আমরা অনুরোধ করবো কেউ যেন কোনো তথ্য না লুকায়। কারণ এখন তথ্য লুকিয়ে চাপা দিয়ে রাখলেও এক সময় সেটা বিশাল বড় আকার ধারণ করবে। তথ্য থাকলে দ্রুত আমাদের জানান।
গুলশান ও শেলাকিয়াতে হামলার পর ১৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৯টি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলসহ ২৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, তথ্য লুকানোর চেষ্টা করা হলে তার পরিণাম হবে ভয়াবহ। নজরদারিতে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে নর্থ সাউথ, ব্র্যাক, মানারাত, নর্দানের ঢাকা ও খুলনা ক্যাম্পাস, এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়, বিজিসি ট্রাস্ট, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব চিটাগাং, দারুল ইহসান ও বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন