করোনা আতঙ্কে কম বেশি সচেতন হয়েছেন সকলেই। হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন বহু মানুষ। কেউ আবার হাসপাতালে। কিন্তু জানেন কী এ রাজ্যেই নৌকোয় কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন এক বৃদ্ধ! অদ্ভুত শুনতে লাগলেও এটাই সত্যি। কারণ করোনা আবহে ভাগ্নির বাড়িতে ঠাঁই হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই এই ব্যবস্থা। যদিও নিয়মিত ভাগ্নির বাড়ি থেকেই আসছে খাবার। নদিয়ার নবদ্বীপ থানার পাবনা পুরের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধের নাম নিরাঞ্জন হালদার। স¤প্রতি মালদহের হবিবপুরের বুলবুলচন্ডী এলাকায় ভাগ্নির বাড়িতে যান তিনি। কিন্তু ততক্ষণে করোনা আতঙ্ক জাঁকিয়ে বসেছে রাজ্যবাসীর মনে। তাই ভাগ্নির বাড়িত তো দ‚র এলাকাতেও ঠাঁই হয়নি বৃদ্ধের। এরপর গ্রামের বাসিন্দারাই জোর করে তাঁকে নিয়ে যায় স্থানীয় হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা পর্যবেক্ষণের পর জানান যে, ১৪ দিন আলাদা অর্থাৎ হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে তাঁকে। কিন্তু গ্রামে তো কেউ তাঁকে থাকতে দেবেন না। কী উপায়? তখন এলাকার বাসিন্দারাই তাঁকে নৌকোয় রাখার ব্যবস্থা করে। সেই থেকে নৌকোতেই দিনযাপন শুরু করেছেন নিরাঞ্জনবাবু। সেখানেই খাওয়াদাওয়া-ঘুম। হ্যাঁ, তবে নিয়মিত ভাগ্নির বাড়ি থেকে খাবার আসছে তার জন্য। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফেও তুলে দেওয়া হচ্ছে খাবার। ১৪ দিন পেরলেই ফের স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন তিনি। নিরাঞ্জনবাবু জানান, “ডাক্তাররা আলাদা থাকতে বলেছিলেন ১৪দিন। কিন্তু ভাগ্নির বাড়িতে অতিরিক্ত ঘর নেই। সেই কারণেই এই নৌকোতেই ঠাঁই।” সংবাদ প্রতিদিন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন