শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

পরীক্ষামূলক টিকা বিল গেটসের অর্থায়নে

ইয়াহু ফাইনান্স | প্রকাশের সময় : ৮ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০০ এএম

বিশ্বজুড়ে লাগামহীন করোনা মহামারীর প্রকোপ রোধে গবেষণাগার, কারখানা ও প্রতিষেধক তৈরির জন্য অর্থের যোগান দিচ্ছেন মাইক্রোসফ্টের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। তার বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ৮টি প্রতিষ্ঠানে গবেষণা চলছে করোনাভাইরাসের টিকার। ৭টি সম্ভাব্য প্রতিষেধকের জন্য প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করছেন বিল গেটস।

বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন জানায়, প্রতিষেধক তৈরিতে মাস বাঁচাতে যাবতীয় আর্থিক অনুদান দিয়েছে বিল এবং মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এবং কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনস- সিইপিআই। কারণ এই সময়ে প্রতিটি মাস গূরুত্বপূর্ণ। বিজ্ঞানীদের মতে, মানবদেহে সফলভাবে কোন টিকা প্রয়োগের পর ফলাফল পেতে ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লাগে। এ প্রেক্ষিতে ডেইলি শোয়ের এক সাক্ষাতকারে বিল গেটস বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক অর্থ বিষয়গুলির অগ্রগতি ঘটাতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘চূড়ান্ত সমাধান হলো একটি প্রতিষেধক তৈরি করা।’

ইতিমধ্যে, সিইপিআই অর্ন্তভুক্ত ৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ম্যাসাচুসেটসের বায়োটেকনোলজি সংস্থা মোডার্না করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ‘এমআরএনএ’ টিকার ক্যানডিডেট নিয়ে কাজ করছে এবং পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করেছে।

বিজনেস ইনসাইডার অনুসারে, সিইপিআই অন্তর্ভুক্ত পেনসালিভানিয়ার বায়োটেক ফার্ম ইনোভিও ফার্মাসিউটিক্যালস তাদের পরীক্ষামূলক টিকা ‘আইএনও-৪৮০০’ সুস্থ ও প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের উপরে প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গেটস রবিবার ফক্স নিউজকে বলেছেন, ‘এটি একটি দুঃস্বপ্নের পরিস্থিতি। কারণ শ্বাসতন্ত্রের ভাইরাসগুলি মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়ে দ্রুত বৃদ্ধি পায়। আর আমরা আমাদের মতো কাজ করছিলাম, ভ্রমণ করছিলাম।’

মহামারীর বিরুদ্ধে লড়তে বিশে^র দেশগুলোকে সহায়তা করতে মার্কিন অনুদান সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এবং শুধু দেশের যত্ম নেবেন না, সেই টিকাটি বিশ্ব জনগোষ্ঠীর কাছে নিয়ে যান, যাতে আমাদের শারীরিক সুরক্ষার বিশাল ক্ষেত্রটি বিস্তৃত হয় এবং এই জিনিসটি যাই হোক না কেন, যেন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে না পড়ে।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন