শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

চাল কালোবাজারিদের কঠোর শাস্তির নির্দেশ

৬৪ ডিসিকে খাদ্যমন্ত্রীর চিঠি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫০ পিএম

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি, ১০ টাকা কেজির চাল বিক্রিতে যে কোনো ধরনের অনিয়মের অভিযোগ পেলে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সব জেলা ডিসি ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের (আরসি ফুড) কাছে পাঠানো চিঠিতে তিনি এ নির্দেশনা দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। গতকাল শনিবার খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চিঠিতে মন্ত্রী উল্লেখ করেন, এ লক্ষ্যে ওএমএসের চাল কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রয়োগ করতে হবে। বর্তমানে বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশেও এর সংক্রমণ দেখা দিয়েছে এবং এর প্রতিরোধে সরকার বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
গত ২৫ মার্চ জাতির উদ্দেশে প্রদত্ত ভাষণে প্রধানমন্ত্রী উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য ওএমএস খাতে ভোক্তাপর্যায়ে প্রতিকেজি চালের মূল্য ৩০ টাকার স্থলে ১০ টাকা নির্ধারণ করার ঘোষণা দেন। তৎপ্রেক্ষিতে খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত ওএমএস খাতে চালের মূল্য কেজিপ্রতি ১০ টাকায় নির্ধারণ করা হয়। খাদ্য মন্ত্রণালয় সরকার কর্তৃক জারিকৃত সাধারণ ছুটির কারণে গৃহে অবস্থানকারী সাধারণ শ্রমজীবী, দিনমজুর, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, পরিবহন শ্রমিক, ফেরিওয়ালা, চায়ের দোকানদার, ভিক্ষুক, ভবঘুরে ও অন্যান্য সকল কর্মহীন মানুষের জন্য ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির কার্যক্রম গ্রহণ করে।
এ কর্মসূচির আওতায় ঢাকা মহানগরসহ দেশব্যাপী বিভাগীয় ও জেলাশহর এবং জেলাশহর বহির্ভূত পৌরসভাসম‚হে সপ্তাহে প্রতি রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত বিক্রয় কার্যক্রম চালু করার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও পৌরসভার নির্বাচিত প্রতিনিধির উপস্থিতি ও তদারকিতে বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। একজন ভোক্তা সপ্তাহে একবার পাঁচ কেজি চাল ক্রয় করতে পারবেন। ওএমএস কেন্দ্রসম‚হ নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠী, শ্রমজীবীদের বসবাস কেন্দ্রের নিকটস্থ বস্তি এলাকায় অথবা পর্যাপ্ত খালি জায়গা আছে এমন স্থানসমূহকে অস্থায়ী বিক্রয় কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে।
চিঠিতে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ইদানীং কিছু পত্র-পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে জানা যাচ্ছে যে, কতিপয় ব্যক্তি ওএমএসের চাল কালোবাজারে বিক্রি করছে। যা এই কর্মসূচিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। ইতোমধ্যে দেশের কয়েকটি জায়গায় ওএমএসের চালসহ কয়েকজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরাও পড়েছেন। তিনি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ও ওএমএস কার্যক্রমে যেকোনো প্রকার অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে কঠোর শাস্তি প্রয়োগ করার নির্দেশ দেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন