কর্পোরেট রিপোর্ট : ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মোট রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৭ বিলিয়ন ডলার। আর রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৮ শতাংশ। সম্প্রতি সচিবালয়ে আয়োজিত এক সভায় এ রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। জঙ্গিবাদ বর্তমানে একটি বৈশ্বিক সমস্যা উল্লেখ করে এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ের বিভিন্ন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কোন প্রভাব ফেলবে না। বাংলাদেশী পণ্যের সবচেয়ে বড় ক্রেতা যুক্তরাষ্ট্র থেকে জিএসপি সুবিধা না পাওয়া এবং দ্বিতীয় বড় বাজার ইউরোপে ইউরোর দর পতনের পরেও বিদায়ী অর্থবছরে রপ্তানি আয় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৩৪ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক ছুঁয়েছে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকায় নানা চ্যালেঞ্জের পরেও রপ্তানি আয় বেড়েছে মন্তব্য করে বৃহস্পতিবার চলতি অর্থবছরের জন্য ৩৭ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। এর মধ্যে দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানিখাত তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেন ৩০ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়ারও আশ্বাস দেন বাণিজ্যমন্ত্রী। বিদায়ী অর্থ বছরে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি আয় বাড়ার পরিসংখ্যান তুলে ধরে রপ্তানিপণ্য বহুমুখীকরণের নানা উদ্যোগের কথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। সভায় শিল্প সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, চামড়া শিল্প নগরী সাভারে গেলে এ খাত থেকে রপ্তানি আয় দ্বিগুণ হবে। অন্যান্য পণ্যের মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের জন্য ১২২ কোটি ডলার, পাট ও পাটজাত পণ্যের ৯৬ কোটি ডলার, হিমায়িত খাদ্য ও মাছের ৫৪ কোটি ডলার ও কৃষিজাত পণ্যের জন্য ৬০ কোটি ডলার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন