রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

শ্রাবণে জেঁকে বসেছে বর্ষা ৩নং সতর্ক সংকেত বহাল

প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : শ্রাবণের গোড়াতেই দেশজুড়ে বর্ষার আবহাওয়া আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল (শনিবার) আবহাওয়া বিভাগ জানায়, বর্তমানে বাংলাদেশের ওপর বর্ষার দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুমালা সক্রিয় রয়েছে। বাংলাদেশসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগরে মৌসুমি বায়ু জোরদার অবস্থায় রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
দেশের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি, কোথাও কোথাও মাঝারি ধরেনের ভারী কিংবা অতিভারী বর্ষণ হচ্ছে। এদিকে সর্বশেষ আবহাওয়ার পরিস্থিতি সম্পর্কে জানা গেছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি হচ্ছে। এ কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩নং স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
বর্ষার মৌসুমি বায়ুর অক্ষ বা বলয় ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর-প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটির বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেইসাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে গতকাল (শনিবার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ফেনীতে ১৫৫ মিলিমিটার। এ সময় ঢাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২৮, চট্টগ্রামে ৬, সন্দ্বীপে ৯৬, কক্সবাজারে ৬৩, সিলেটে ১০, রাজশাহীতে ২৪, রংপুরে ৮, খুলনায় ৩৯, বরিশালে ৩৬ মিলিমিটার।
মৌসুমি বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর-প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যা থেকে আজ (রোববার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারীবর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘন্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। বর্ধিত ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে।
কুয়াকাটা সংলগ্ন সাগর উত্তাল
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা : বৈরী আবহাওয়া কারণে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করায় গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ করে শত শত ট্রলার তীরে আসতে শুরু করেছে। শনিবার সকাল থেকে মৎস্যবন্দর আলীপুর-মহিপুরসহ উপকূলীয় এলাকার পোতাশ্রয়গুলোতে ওইসব মাছ ধরা ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে এসেছে। এছাড়া এখনো অসংখ্য ট্রলার গভীর সমুদ্রে রয়েছে বলে মৎস্যবন্দর সমিতি সূত্রে জানা গেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে, কুয়াকাটা সৈকতের বিভিন্ন স্থানে ঢেউয়ের ঝাপটায় বালু ক্ষয়ের ফলে সৈকতের সৌন্দর্য বিলীন হয়ে গেছে।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২/৩ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে দিনভর কখনো ভারী ও কখনো মাঝারি ধরনের হয়েছে। এর ফলে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে ফসলি জমি, মাছের ঘের ডুবে গেছে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
ফিশিং ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ে
শরণখোলা উপজেলা সংবাদদাতা : গভীর বঙ্গোপসাগরে সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হওয়ায় সাগর প্রচ- উত্তাল হয়ে উঠেছে। আবহাওয়া বিভাগ কর্তৃক ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করায় এবং প্রচ- ঢেউয়ের সাথে টিকতে না পেরে সহ¯্রাধিক ফিশিং ট্রলার সাগর তীরবর্তী বিভিন্ন নদ-নদীতে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে।
বরগুনা জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আ. মান্নান জানান, সাগরে প্রচ- ঢেউ এবং আবহাওয়া বিভাগ ৩নং সতর্কতা সংকেত জারি করার পর ইলিশ আহরণ বন্ধ রেখে শুকবার ভোরে সমুদ্র ছেড়েছে অসংখ্য ফিশিং ট্রলার।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন