স্টাফ রিপোর্টার : সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসি চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের রিভিউ আবেদন করার কোনো আইনগত বৈধতা নেই। অযথা চাপ সৃষ্টির জন্যই রাষ্ট্রপক্ষ এ রিভিউ আবেদন করেছে।
গতকাল রোববার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে সাঈদীর আইনজীবী প্রধান খন্দকার মাহবুব এসব কথা বলেন। খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, যদি কোনো অভিযোগে অপরাধ প্রমাণিত হয়, সেই অপরাধের সাজা কী দেবেন সেটা সম্পূর্ণ আদালতের এখতিয়ার। এ বিষয়ে রিভিউ করার কোনো আইনগত বৈধতা রাষ্ট্রপক্ষের নেই। সাঈদীর প্রধান আইনজীবী বলেন, রিভিউয়ের রায়ে আমরা বিজয়ী হব, সাঈদী সম্পূর্ণভাবে খালাস পাবেন। সাঈদীর প্রধান আইনজীবী বলেন, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর খালাস চেয়ে রিভউ দাখিল করা হয়েছে। এর আগে রাষ্ট্রপক্ষ আমৃত্যু থেকে বাড়িয়ে তার মৃত্যু চেয়ে রিভিউ করেছেন। আমরা এ মামলায় সাঈদীকে সম্পূর্ণভাবে খালাস দেয়ার জন্য রিভিউ ফাইল দাখিল করেছি। তিনি বলেন, সাঈদীর বিরুদ্ধে আনীত ২০ অভিযোগের মধ্যে ৮টি প্রমাণিত হওয়ায় ট্রাইব্যুনালে তাকে মৃত্যুদ- দিয়েছিলেন। তবে বিশাবালী ও ইব্রাহিম কুট্টিকে হত্যার বিষয়ে সঠিক ভাবে প্রমাণ না পাওয়ায় দ- কমিয়ে আমৃত্যু কারাদ- দেন আপিল বিভাগ।
মাহবুব হোসেন অভিযোগ করে বলেন, বিশাবালী হত্যায় সাঈদী জড়িত ছিলেন না বলে তার (বিশাবালীর) আপন ভাই সুখরঞ্জণ বালী সাঈদীর পক্ষে সাক্ষী দিতে আসেন। ডিফেন্সের পক্ষে সাক্ষী দিতে আসার সময় ট্রাইব্যুনালের গেট থেকে সুখরঞ্জণ বালীকে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অপহরণ করে। তিনি বলেন, সে দিন সাঈদীর আইনজীবীরা ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের কাছে সুখরঞ্জণ বালীকে সাদা পোষাকধারীরা অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ করলেও প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়। কিন্তু পরে সুখরঞ্জণ বালীকে ভারতের কারাগারে পাওয়া যায়। আমরা এই গুরুত্বপূর্ণ গ্রাউন্ডটি রিভিউ আবেদনে তুলে ধরেছি। আশা করি, আমরা বিজয়ী হব, সাঈদী খালাস পাবেন। সংবাদ সম্মেলনে সাঈদীর ছেলে মাসুদ বিন সাঈদী, অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দসহ অন্যান্য আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন