শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

কারাবন্দী গণমাধ্যম কর্মীদের মুক্তি চেয়েছে আর্টিকেল নাইনটিন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ এপ্রিল, ২০২০, ৮:২২ পিএম

সকল কারাবন্দী গণমাধ্যম কর্মীর মুক্তির দাবি জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মতপ্রকাশের অধিকার বিষয়ক মানবাধিকার সংগঠন আর্টিকেল নাইনটিন। দেশের অধিকাংশ কারাগারে সাধারণ বন্দীরা বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবার সর্বোচ্চ ঝুঁকি বহন করছেন বলেই মনে করে সংগঠনটি। এ বিষয়ে আর্টিকেল নাইনটিন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

আর্টিকেল নাইনটিন, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন, আমরা জেনেছি হয়রানিমূলক মামলায় দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দী রয়েছেন বাউলশিল্পী শরিয়ত সরকার, রীতা দেওয়ান, গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নূর মোহাম্মদ, চুনারুঘাট সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মো: ওয়াহেদ আলীসহ বেশ কিছু গণমাধ্যম কর্মী। জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান মিশেল ব্যাশেলেট করাবন্দীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভিন্নমত প্রকাশের জন্য আটক ব্যক্তিসহ যাদের আটকের তেমন কোন আইনগত ভিত্তি নেই তাদের মুক্তি দেওয়ার কথা বলেছেন।

গত ১০ এপ্রিল কুমিল্লায় অনলাইন নিউজ পোর্টালের সত্ত্বাধিকারী ও স্থানীয় সংবাদপত্রের প্রতিবেদক সাংবাদিক মাহফুজ বাবুকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময়ে তার মোবাইল ফোনটিও জব্দ করা হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গুজব ছাড়ানোর অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশের দাবি।

মাহফুজ বাবুর সহকর্মী ও পরিবারের অভিযোগ, তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তাদের দাবি, সাবিহা রহমান নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে, সংসদ সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরুর মৃত্যু সংবাদ প্রচারিত হয়। সেই পোষ্টে মাহফুজ বাবু সহ অনেকেই মন্তব্য করেন। এ অভিযোগে তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মামলায় ফাঁসানো হয়।

বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন। আর্টিকেল নাইনটিনের দাবি দেশে যে সকল গণমাধ্যমকর্মী অভিযুক্ত বা সাজা ভোগ করছেন সকল বন্দীকে সরকারের কারাবন্দী মুক্তির তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করে দ্রুত মুক্তি দেওয়া হউক।
ফারুখ ফয়সল আরও বলেন, আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, সাংবাদিকতা একটি দায়িত্বশীল ও স্বাধীন পেশা। ফলে স্বাধীন মতপ্রকাশ এবং সঠিক তথ্য জনগণের সামনে তুলে ধরা তাদের প্রধান কর্তব্য। তারা তাদের এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ সহ বিভিন্ন হয়রানিমূলক মামলার শিকার হন। যা খুবই দুঃখজনক ও উদ্বেগের কারণ। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুসরণ করে সাংবাদিক ও মতপ্রকাশকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি ।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন