বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে সোয়া ৩শ’ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা

প্রকাশের সময় : ১৮ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্ত্রী ভাই ব্যাংক কর্মকর্তাসহ আসামি আরও ৫ জন
চট্টগ্রাম ব্যুরো : সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের মামলায় গ্রেফতার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে একটি বেসরকারি ব্যাংকের সোয়া তিনশ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে। আসলাম চৌধুরী স্ত্রী, তার দুই ভাই এবং ব্যাংকটির সাবেক দুই কর্মকর্তাকেও এই মামলায় আসামি করা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-সহকারী পরিচালক মানিকলাল দাশ বাদী হয়ে শনিবার গভীর রাতে ডবলমুরিং থানায় মামলাটি করেন বলে উপ-সহকারী পরিচালক সাধন সূত্রধর জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এর মধ্যেই মামলার অন্যতম আসামি আসলামের ভাই ও তাদের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান রাইজিং স্টিল লিমিটেডের পরিচালক জসিম উদ্দিন চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দুদকের চট্টগ্রামের পরিচালক আবদুল আজিজ ভুইয়া বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে এবি ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখা থেকে ৩২৫ কোটি ৭৫ টাকার ঋণ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার অপর আসামিরা হলেন- আসলামের আরেক ভাই রাইজিং স্টিল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমজাদ হোসেন চৌধুরী, আসলামের স্ত্রী ও চেয়ারম্যান জামিলা নাজনীন মাওলা, বাংলাদেশ ব্যাংকের মহা ব্যবস্থাপক (জিএম, হিসাব ও অডিট) ও এবি ব্যাংকের সাবেক উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি, হেড অব ক্রেডিট) বদরুল হক খান ও এবি ব্যাংকের সাবেক এমডি এম ফজলুর রহমান। এ ঘটনায় মামলার আসামী জসিম উদ্দিন ও বদরুল হক খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার রাতেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসলাম চৌধুরীর পারিবারিক মালিকানাধীন রাইজিং স্টিল লিমিটেড পুরাতন জাহাজ ক্রয়ের জন্য ২০১১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে তিনটি ঋণপত্রের (এলসি) বিপরীতে এবি ব্যাংক চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখা থেকে ৩২৫ কোটি ৭৬ লাখ ৩০ হাজার ৯৫৫ টাকা ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করেননি। রাইজিং স্টার লিমিটেড ওই শাখায় প্রথম এলসি খোলে ২০০৮ সালে। দুই বছর পর প্রতিষ্ঠানটি ৪০ কোটি ৯৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকা দামে পুরনো জাহাজ আমদানি করে তা বিক্রি করলেও ব্যাংকের ঋণ পুরোটা পরিশোধ করেনি।
প্রতিষ্ঠানটির কাছে ব্যাংক ২০ কোটি ৮২ লাখ ৯৩ হাজার টাকা পাওনা থাকার পরেও ২০১১ সালে আরও একটি এলসির মাধ্যমে একটি জাহাজ আমদানির সুযোগ দেওয়া হয়। এই এলসির বিপরীতেও প্রতিষ্ঠানটি ২৬ কোটি ৪৫ লাখ ৯৮ হাজার টাকার ঋণ পরিশোধ করেনি। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি ২০১২ সালে ১৬৫ কোটি ৫২ লাখ ৬০ হাজার ৬০০ টাকা ও ২০১৩ সালে ১৩৪ কোটি ৩৪ লাখ ১৬ হাজার টাকার দুটি এলসির বিপরীতে আরও দুটি জাহাজ আমদানি করে তা বাজারে বিক্রি করলেও কোনো টাকা পরিশোধ করেনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন