দেশের প্রথম এলাকা হিসেবে লকডাউনের একমাস অতিক্রম করল শিবচর। গত ১৯ মার্চ সর্বপ্রথম শিবচরকে কনটেইনমেন্ট পরে লকডাউন করা হয়। লকডাউন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন হওয়ায় করোনার ভয়াবহতা ও বিস্তার এখন পর্যন্ত রোধ সম্ভব হয়েছে।
কনটেইনমেন্ট ঘোষণার দিন দেশের স্বল্প সংখ্যক রোগীর মধ্যে শিবচরেই আক্রান্ত ছিল ৮ জন। গত রোববার সুস্থ হয়ে আইসোলেশন থেকে বাড়ি ফিরেছেন ৮ জন। বর্তমানে মাত্র ৫ জন রোগী আইসোলেশনে রয়েছেন যারা সবাই নারায়ণগঞ্জ বা এর সংস্পর্শে আসা। লকডাউন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন না হলে নারায়ণগঞ্জের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হত বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। সম্প্রতি ইটালিসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ৬শ’ ৮৪ জন প্রবাসী শিবচরে আসেন। এদের মধ্যে ৪শ’ জন হোম কোয়ারেন্টিন পালন করে। বর্তমানে ৮৯ জন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।
জানা যায়, শিবচরে করোনার বিস্তার রোধে প্রথমদিনেই আড়াই শতাধিক পুলিশ সদস্য মোতায়েন হয় উপজেলাজুড়ে। মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী, র্যাব। বন্ধ করে দেয়া হয় দোকান পাট, গণপরিবহন। মাত্র ৪ ঘণ্টা খোলা থাকে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান। বন্ধ হয়ে যায় সকল সাপ্তাহিক হাট। ২০ শয্যার পৃথক আইসোলেশন কেন্দ্র ঘোষণা করা হয় বহেরাতলা হাজী কাশেম উকিল মা শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষ জানান, শিবচরে ৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বর্তমানে ৫ জন আইসোলেশনে রয়েছেন। ৮৯ জন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।
সহকারী পুলিশ সুপার আবির হোসেন বলেন, শিবচরে লকডাউন বাস্তবায়নে আড়াই শতাধিক পুলিশ সদস্য নিয়োজিত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন