চাকরির কারণে যে সব ব্যাচেলর বাসা ভাড়া নিয়ে মেস বানিয়ে থাকেন এবং লেখাপড়ার কারণে হলে সিট না পাওয়ায় শিক্ষার্থী ছাত্র মেসে থাকেন তারা রয়েছেন মহা আতঙ্কে। একদিকে ভয় যে কোনো রাতে পুলিশ ধরে নিয়ে যেতে পারে; টাকা না দিলে ‘জঙ্গি তকমা’ দেবে; অন্যদিকে জঙ্গি হামলার শঙ্কা। রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে বিভাগ, জেলা, উপজেলা পর্যায়ের চিত্র প্রায় অভিন্ন। বাড়িওয়ালাদের ভীতি ভাড়াটিয়া নিয়ে। কোন ভাড়াটিয়াকে কখন জঙ্গি হিসেবে গ্রেফতার করে ‘আস্তানা’ দেয়ার অভিযোগ তোলা হয়। অজানা আতঙ্কেই জুম্মার নামাজে মসজিদগুলোতে তরুণ মুসল্লিদের উপস্থিতি কমে গেছে। বনের বাঘ নয়; মনের বাঘ যেন খুবলে খুবলে খাচ্ছে মানুষকে। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়া সর্বত্রই গুজব আতঙ্ক। ‘অন্ধকার ঘরের সাপ সারা ঘরে’ প্রবাদের মতোই অজানা আতঙ্ক। একদিকে জঙ্গি হামলার ভীতি; অন্যদিকে পুলিশের গ্রেফতার আতঙ্ক। রাজধানীর বড় বড় মার্কেট, স্থাপনা, কোর্ট, বিমানবন্দর, বাস স্ট্যান্ড, রেল স্টেশন, নৌবন্দর সবখানে জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় নিরাপত্তা জোরদারের কথা বলা হচ্ছে। আর জঙ্গি খুঁজতে পুলিশের তৎপরতাও করে তুলেছে সন্ত্রস্ত। আর যাদের গ্রেফতার আতঙ্ক নেই তারাও জঙ্গি হামলার গুজবে আতঙ্কে দিনযাপন করছেন। কেউ জানে না কখন কোথায় কি অঘটন ঘটে।
স্টালিন সরকার : মিডিয়ায় খবরের শিরোনাম বদলাচ্ছে না। ভাষা ও শব্দ বদলালেও প্রতিদিন খবরের শিরোনাম সন্ত্রাস, জঙ্গি হামলা, জঙ্গি গ্রেফতার, আস্তানার খোঁজ ইত্যাদি। প্রতিদিনই দায়িত্বশীলদের বাগাড়ম্বর সন্ত্রাসের শেকড় উৎপাটন করব, ঠেকিয়ে দেব, শুইয়ে দেব। কিন্তু মানুষের মধ্যে আতঙ্ক-ভীতি দূর হচ্ছে না। কখন কোথায় কি হয় সে আশঙ্কায় নিত্যদিন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আর অনিশ্চয়তার পারদ বাড়ছেই। পত্রিকার পাতা খুললেই জঙ্গির খবর। টিভির নিউজ ও অনলাইন মিডিয়ায় একই বার্তা। দেশি-বিদেশি সব প্রচার মাধ্যম দখল করেছে জঙ্গিনামা। শুধু গত রবিবার একদিনের খবর হলোÑ ‘জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় রংপুর আদালত পাড়ায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে’ ‘পদ্মা সেতু প্রকল্পে জঙ্গি হামলার টার্গেট হতে পরে : সড়ক ও সেতুমন্ত্রী’ ‘রাজধানীর পশ্চিম শেওড়াপাড়ায় একটি বাড়িতে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পাওয়া গেছে’ ‘জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত শিক্ষকদের চিহ্নিত করা হচ্ছে : শিক্ষামন্ত্রী’ ‘নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের যুগিদিয়া গ্রামের কালি মন্দিরের পুরোহিত লিটন ও মন্দিরের একজন সেবায়েতকে জবাই করে হত্যার হুমিক দিয়ে চিঠি’ ‘গুলশানের ঘটনায় সারাবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ছেদ পড়েছে ঃ প্রধানমন্ত্রী’ ‘ডেড লাইন ২০ জুলাই; হামলার আশঙ্কায় খুলছে না ঢাকার কয়েকটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল’ ‘গুলশানের পিংক সিটিতে আতঙ্ক’ ‘রংপুরে আনন্দময়ী আশ্রমের পুরোহিত হত্যার হুমকি’ ‘পিরোজপুরে মন্দিরের দুই পুরোহিতকে হত্যার হুমকি’ ‘নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ৮ দিনের রিমান্ডে’ ‘জীবননগরে সাধুর আস্তানায় হামলা’ ‘আমরা জঙ্গিবাদের ক্যান্সার অপারেশন করে ফেলব : নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি’ ‘জঙ্গি দমনে ঘুরে দাঁড়াতে জানি : র্যাব প্রধান’ ‘গুলশানের জঙ্গি আমলার তথ্য আমরা আগেই পেয়েছিলাম : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী’ ‘পার্বত্য অঞ্চল থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে জঙ্গিরা’ ‘জঙ্গিদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের কাউন্সিলিং করার চিন্তা করছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়’ ‘জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ২১ জুলাই শিক্ষক সমাবেশ’ ‘জঙ্গি অর্থায়নের সাজাপ্রাপ্ত দু’জন নরসিংদীর’ ‘বেহেস্তের আশায় জঙ্গিরা মানবতার বিরুদ্ধে হামলা করছে
আইজিপি’। এর বাইরেও প্রায় অর্ধশত সন্ত্রাস সংক্রান্ত খবর প্রকাশ হয়েছে গতকাল বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে। এছাড়াও ফেসবুক, টুইটার, ব্লগে এ নিয়ে বিতর্কের পাশাপাশি উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, ভীতি-আতঙ্ক এবং গুজব চলছেই। বাস-ট্রেন, স্টিমার-লঞ্চ, হাট-বাজার, মাঠ-ঘাট, অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা সবখানে একই আলোচনা-বিতর্ক। কি হচ্ছে দেশে? সরকার কি করছে? সরকার কি সত্যিই জঙ্গি দমনে আন্তরিক? তাহলে জাতীয় ঐক্যের পথে হাঁটছে না কেন? সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও আইন-শৃঙ্খলায় নিয়োজিত বাহিনীর দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা এখনো ধোঁয়াশা ছড়াচ্ছেন কেন? গুলশান ট্র্যাজেডির ১৬ দিন পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন, হামলা হতে পারে এমন তথ্য তারা গোয়েন্দা মারফত পেয়েছেন আগেই। তাহলে তারা কেন প্রাণহানির আগেই ব্যবস্থা গ্রহণ করলেন না? কেন ২৮ জনকে প্রাণ দিতে হলো?
গুলশানের হোলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হত্যাকা-ের পর কূটনৈতিক পাড়ায় নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। এ নিরাপত্তার কারণে মানুষের প্রবেশ কড়াকড়ি করা হয়। পাবলিক বাস প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়। যারা প্রাইভেট গাড়ি ও অন্যান্য যানবাহনে চলাফেরা করতে পারছেন তাদের তল্লাশির নামে হয়রানি করা হচ্ছে। মানুষের উপস্থিতি কমে যাওয়ায় ওই এলাকার মার্কেট এবং হোটেলগুলোর ব্যবসা লাটে উঠেছে। ব্যবসায়ীরা লোকসান গুনতে শুরু করেছেন। গুলশান-বারিধারা-বনানীতে বসবাস পরিবারগুলোর তরুণদের পিতা-মাতা ভীতি-আতঙ্কে রয়েছেন। মসজিদগুলোতে তরুণদের উপস্থিতি কমে গেছে। আগে জুম্মার নামাজের সময় গুলশান-বারিধারার মসজিদগুলোতে অসংখ্য তরুণ নামাজ আদায় করতেন। পহেলা জুলাই থেকে মসজিদে জুম্মার নামাজে তরুণদের উপস্থিতি কমে গেছে। পুলিশি গ্রেফতার এবং ইসলামী ফাউন্ডেশনের খুদবা সরবরাহের পর ক্ষমতাসীনদের অতিরিক্ত নজরদারির শুরু হওয়ায় যদি জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করা হয় সে আশঙ্কা থেকে জুম্মার নামাজে সারা দেশের মসজিদগুলোতে তরুণদের উপস্থিতি কমে গেছে।
জঙ্গি হামলা নিয়ে যে গুজব আর সর্বত্র ভীতি তাতে মনে হচ্ছে গোটা দেশ কার্যত জঙ্গি ও সন্ত্রাসকবলিত জনপদে পরিণত হয়েছে। এ জঙ্গি সমস্যা যে রাজনৈতিক এবং বৈস্মিক এতদিন সরকার তা স্বীকার করেনি। সবকিছুতে বিএনপি ও জামায়াতের ওপর দায় চাপিয়ে পুলিশ দিয়ে সংকট সমাধানের চেষ্টা করেছে। এতে পুলিশি জুলুম বাড়লেও সঙ্কটের সমাধান হয়নি বরং দানব জঙ্গিদের শাখা-প্রশাখার বিস্তার ঘটেছে। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন সন্ত্রাসের সর্বোচ্চ রূপই হলো জাতিগত যুদ্ধ এবং আগ্রাসন যা কিনা একটি সম্পূর্ণ সংগঠিত অপরাধ। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় গ্রামীণ জনপদে পরিবারে-সমাজে বিরোধ-যুদ্ধের বীজ বপন হয়। সব যুদ্ধই আরও যুদ্ধ, সংঘাত ও সন্ত্রাস টেনে আনে। সন্ত্রাসের শুরু অসহিষ্ণুতা, হীনমন্যতা, ভারসাম্যহীন প্রেরণা এবং নষ্ট ইল্যুশনের মধ্য দিয়ে। এই নষ্ট মাইন্ডসেট উদ্ভূত চিন্তা-চেতনা সন্ত্রাসীর মনোজগতে এমন ক্রোধ ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ ইচ্ছা সৃষ্টি করে যা তাকে টেনে নেয় হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যে। এই নষ্ট কর্মের মধ্য দিয়ে নিজেদের ক্ষমতা বিস্তার করার পরিবেশ তৈরি হয় বলে মনে করে সন্ত্রাসীচক্র এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকরা। সন্ত্রাসীকর্ম প্রতিটি সন্ত্রাসীকে উচ্চমাপে নিয়ে যায় বলে তারা বিশ্বাস করে। একে ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর চিন্তা এবং পরিচয় অধিকতর পরিচিত করার পথ বলে মনে করে সন্ত্রাসীরা। অথচ সরকার এই বাস্তবতাকে কোনো গুরুত্ব দেয়নি। বছরের পর বছর তারা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ব্যস্ত থেকেছে। পুলিশ বাহিনীকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে রাষ্ট্রের বাহিনীকে জনগণের অবিশ্বাসের বাহিনীতে পরিণত করেছে। এখন পুলিশ ভালো কিছু বললেও মানুষ বিশ্বাস করতে চায় না। আর জঙ্গি দমনের চেয়ে দেশে আইএস নেই প্রমাণের চেষ্টায় সর্বশক্তি করেছে ব্যয়। আতঙ্কিত মানুষের প্রশ্ন দানবকে ফুলে-ফেঁপে উঠতে সুযোগ দেয়া হলো কেন? বৈষ্মিক এই সন্ত্রাস দমনে সর্বমহল থেকে জাতীয় ঐক্যের দাবি উঠলেও ঐক্য হচ্ছে না কেন?
জঙ্গি হামলার ভয়ে ঢাকার অনেকগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। রাজধানীর মার্কেট ও বিপণি বিতানগুলোতে না যাওয়ার জন্য মানুষকে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। জঙ্গি হামলার ভয়ে ক্রেতারা মার্কেটে না গেলে ব্যবসায়ীদের ফতুর হওয়া ছাড়া উপায় আছে কি? রাজধানীর পশ্চিম শেওড়াপাড়ায় একটি বাড়িতে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। একই দিন জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় রংপুর আদালত পাড়ায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের যুগিদিয়া গ্রামে কালি মন্দিরের পুরোহিত লিটন ও মন্দিরের একজন সেবায়েতকে জবাই করে হত্যার হুমিক দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পদ্মা সেতু প্রকল্পে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের অন্যতম বৃহৎ পদ্মা সেতু প্রকল্পও জঙ্গি হামলার লক্ষ্যবস্তু হতে পারে। সবচেয়ে বড় প্রজেক্টটাকেই তারা হামলার লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বেছে নিতে পারে।
রাজধানীর গুলশানে আর্টিজান নামক অভিজাত রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২৮ প্রাণহানি; অতঃপর ঈদের দিন শোলাকিয়ায় হামলার পর দেশজুড়ে নাগরিকদের মধ্যে এখন চরম এক আতঙ্ক বিরাজ করছে। দুটি হামলার রেশ না কাটতেই ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্ক নামক শপিংমলে হামলার কথাও ঘোষণা দেয় আইএস। এ ধরনের জঙ্গি হামলা ভবিষ্যতে আরো হবে এমন ভিডিও বার্তাও অনলাইনে প্রকাশ করেছে আইএস গত বুধবার। ফলে নাগরিকদের মধ্যে অজানা আতঙ্ক আরো বেড়ে যায়; সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজবের ডালপালার বিস্তার ঘটে। সরকার বলছে বাংলাদেশে আইএস নেই। কিন্তু গুলশান হামলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আইএস আগাম যেসব তথ্য প্রচার করেছে; তা ঘটনার সঙ্গে প্রায় হুবহু মিলে যায়। এর ফলে ভবিষ্যতে হামলার বিষয়ে তাদের ঘোষণা নিয়ে বিদেশিদের পাশাপাশি দেশের নাগরিকদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম উৎকণ্ঠা, আতঙ্ক এবং গুজব।
গুলশান ট্র্যাজেডির পর থেকে ঢাকাস্থ প্রায় সব বিদেশি দূতাবাস তাদের দেশের নাগরিকদের সব ধরনের ভিড় এড়িয়ে চলার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে। মার্কিন দূতাবাস বাংলাদেশে অবস্থানরত কূটনীতিকদের সব অনুষ্ঠান বাতিল করেছে। কূটনীতিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সব ধরনের কর্মসূচি এমনকি আন্তর্জাতিক মানের হোটেলগুলোর সভা-সেমিনারও বর্জনের পরামর্শ দিয়েছে। পাশাপাশি মার্কিনসহ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের চলাচলের ক্ষেত্রে খোলা যানবাহন যেমন খোলা জিপ, মোটরসাইকেল, সাইকেল ব্যবহার করতে নিষেধ করেছে। শুধু গাড়ি ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। মানুষের ভিড় জমে এমন এলাকা এড়িয়ে চলতে বলেছে। এমনকি শপিংমলকে এড়িয়ে যেতে বলেছে দূতাবাসগুলো। আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো তাদের নাগরিকদের পরিবার-পরিজনকে দেশে পাঠানোরও পরামর্শ দিয়েছে। এ হামলার পরে আতঙ্কে অনেক বিদেশি নাগরিক ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ছেড়ে চলে গেছেন।
গুলশান-শোলাকিয়ায় হামলার পরে দেশজুড়ে বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। চট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী খুন এবং গুলশান ও শোলাকিয়ায় পুলিশের একাধিক সদস্যকে হত্যার পর নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশ সদস্যদের মধ্যেও আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুলিশকে ব্যস্ত থাকতে হয় নাগরিকের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এবারের জঙ্গি হামলা। সবার মধ্যে ভীতি আর অজানা শঙ্কা। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন এমন একজন অতঙ্কের কথা জানিয়ে বললেন, চাকরির সুবাদে পরিবার-পরিজন ছেড়ে ঢাকায় মেসে থাকতে হয়। এখানে কয়েকজন ছাত্রও থাকে। আমরা পড়েছি খুব সমস্যায়। প্রায়ই পুলিশের অভিযান চলছে। কি হয় কে জানে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন