স্টাফ রিপোর্টার : হাজারীবাগ থেকে না সরানো পর্যন্ত ১৫৪ ট্যানারিকে পরিবেশের ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা করে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলেছেন আপিল বিভাগ। অনুদান হিসেবে এই অর্থের অর্ধেক সরকারকে লিভার ফাউন্ডেশনে জমা দিতে বলা হয়েছে। গতকাল সোমবার এক আবেদনের নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ ক্ষতিপূরণের নতুন অংক ঠিক করে দেন। এর আগে হাইকোর্ট ৫০ হাজার টাকা করে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলেছিল।
আদালতে ট্যানারি মালিকদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী। রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। হাইকোর্ট ২০০১ সালে এক রায়ে হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি শিল্প সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়। আরেক আদেশে ট্যানারি সরানোর জন্য ২০১০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়। সরকারপক্ষের আবেদনে ওই সময়সীমা কয়েক দফা বাড়ানোর পরও ট্যানারি স্থানান্তরের আদেশ বাস্তবায়িত না হওয়ায় ২০১৪ সালের ১৫ এপ্রিল হাইকোর্ট আদালত অবমাননার রুল জারি করে। বার বার তাগিদ দেওয়ার পরও দশটি প্রতিষ্ঠান হাজারীবাগ থেকে সাভারের চামড়া শিল্প নগরীতে কারখানা সরানোর পদক্ষেপ নেয়নি। পরবর্তীতে আদালত দশ ট্যানারি মালিকের বিরুদ্ধে আদালত অবমানার রুল দেয় এবং পরে তাদের তলব করে।
এদিকে ট্যানারি নিয়ে জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে নতুন আবেদন করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ। তাদের আবেদনে গত ১৩ এপ্রিল নতুন করে ট্যানারির তালিকা দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পরও বাকি ওই ১৫৪টি কারাখানা সাভারের চামড়া শিল্প নগরীতে না সরানোয় প্রতিদিনি ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণের আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে হাজারীবাগের ট্যানারি বর্জ্য বুড়িগঙ্গায় ফেলে পরিবেশের কী পরিমাণ ক্ষতি প্রতিদিন করা হচ্ছে তা নিরূপণ করতে বলা হয় পরিবেশ সচিবকে। ওই আদেশের বিরুদ্ধে ট্যানারি মালিকদের দুই সংগঠনের চেয়ারম্যান চেম্বার আদালতে গেলে গত ২৮ জুন অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি বিষয়টি শুনানির জন্য নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। গতকাল এ বিষয়ে শুনানি শেষে আবেদন নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেন আপিল বিভাগ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন