কর্পোরেট ডেস্ক : পোশাক রপ্তানিতে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে ভারতের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এইপিসি চেয়ারম্যান আশোক জি রজনি বলেন, গত ডিসেম্বরে পোশাক রপ্তানি এক বছর আগের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে মাত্র ৫ শতাংশ। এ ছাড়া এপ্রিল-ডিসেম্বর সময়ে রপ্তানি বেড়েছে মাত্র ২.৮ শতাংশ। এ সময়ে রপ্তানি হয় মোট ১২.৪৭ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক। তিনি জানান, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ভারতের টেক্সটাইল ও বস্ত্র রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি এসেছিল মাত্র ৫ শতাংশ। ওই বছর রপ্তানি হয় মোট ৪১.৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। যদিও লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৫ বিলিয়ন ডলার। এদিকে টেক্সটাইলসহ কয়েকটি খাতে ভালো সম্ভাবনা দেখা গেলেও চলতি অর্থবছরে পোশাক রপ্তানিতে লক্ষ্যমাত্রার ৯০ শতাংশ অর্জন করা কঠিন হবে ভারতের। দেশটির অ্যাপারেল এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিল (এইপিসি) জানায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ভারতের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৮.৭৩ বিলিয়ন ডলার। এর বিপরীতে রপ্তানি করা সম্ভব হবে ১৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বাজারে পোশাক রপ্তানি প্রত্যাশার চেয়ে কম হওয়ায় এ খাতে রপ্তানি কমবে বলে মনে করছে তারা। চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছর টেক্সটাইল ও বস্ত্র রপ্তানিতে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৭.৫ বিলিয়ন ডলার। রজনি বলেন, ভিয়েতনামের পোশাক রপ্তানি নিয়ে কিছুটা উদ্বিগ্ন ভারতের তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকরা। কারণ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আওতায় দেশটি আগামী ২০১৭ সাল থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে।
যেখানে এ অঞ্চলে পণ্য রপ্তানিতে ভারতের ব্যবসায়ীদের ৯.৬ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। অন্যদিকে প্রস্তাবিত ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ চুক্তি বাস্তবায়িত হলে ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে। অথচ এ বাজারে ঢুকতে ভারতের রপ্তানিকারকদের দিতে হয় ১৭ থেকে ৩০ শতাংশ শুল্ক। গত বছর ভারতীয় তৈরি পোশাকের ৪০ শতাংশ গেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে, আর উত্তর আমেরিকায় গেছে দেশটির ২৫ শতাংশ পোশাক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন