চট্টগ্রাম ব্যুরো : অস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাদক পাচার বন্ধে দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম বন্দরে বিশেষ অভিযান অপারেশন ‘আইরিন’ শেষ হয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) দ্বিতীয় দিনের মতো বন্দর জেটিতে বিজিবির ডগ স্কোয়াড দিয়ে তল্লাশি চালানো হয়।
বিজিবির ডগ স্কোয়াডের তিনটি কুকুর দিয়ে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের কর্মকর্তারা এ অভিযান পরিচালনা করেন। বন্দর, কাস্টমসসহ অন্যান্য সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা অভিযানে সহায়তা করেন। তবে শেষ পর্যন্ত বন্দরে অবৈধ কোনো কিছু মিলেনি।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হোসাইন আহমেদ বলেন, সোমবার থেকে বন্দর জেটিতে বিজিবির ডগ স্কোয়াড দিয়ে তল্লাশি কার্যক্রম শুরু হয়। তবে সোমবার কোনো কিছুই পাওয়া যায়নি।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে আসিয়ান ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৩৩টি দেশের মতো বাংলাদেশেও চলছে কম্বিং অপারেশন ‘আইরিন’। গত ৮ জুলাই থেকে বাংলাদেশে এ অভিযান শুরু হয়। মূলত দেশের বিমান, স্থল, নৌ-বন্দরগুলোতে এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউসিও) অধীনে ‘রিজিওনাল ইন্টেলিজেন্স লিয়াজোঁ অফিস ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক’ (রাইলো-এপি) এ অভিযানের সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করছে। এর আগে গত তিনদিন চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে এ তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। তবে সেখানে অভিযানে উল্লেখযোগ্য কিছু পাওয়া যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন