শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মিল্কভিটার বাঘাবাড়ী কনডেন্সড মিল্ক প্লান্টের দুর্নীতি তদন্তে নেমেছে দুদক

প্রকাশের সময় : ২০ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : মিল্কভিটার বাঘাবাড়ী কনডেন্সড মিল্ক প্লান্ট স্থাপনে অর্ধশত কোটি টাকা আত্মসাতের আবারো অনুসন্ধানে নামছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ লক্ষ্যে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত নিয়ে কাজ করছে সংস্থার তিন সদস্যের বাছাই কমিটি। কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে নিয়োগ করা হবে অনুসন্ধান কর্মকর্তা।
দুদক সূত্র জানায়, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে পাবনার বাঘাবাড়ী ঘটা করে উদ্বোধন করা হয় মিল্কভিটার কনডেন্সড মিল্ক প্লান্ট। ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপিত ওই প্লান্ট এক যুগেও উৎপাদনে যেতে পারেনি। উপরন্তু ক্যান মেকিং প্লান্ট স্থাপনের নামে লুটে নেয়া হয় আরো ২৬ কোটি টাকা। উৎপাদনের পরিবর্তে ২ কোটি টাকায় ক্যান ওয়াশিং মেশিন স্থাপন, প্লান্টের যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ, ২২ লাখ টাকায় যন্ত্রাংশ ক্রয়ের তুঘলকি সিদ্ধান্তে অপচয় হয়েছে অর্ধশত কোটি টাকা। রাজনৈতিক আনুকূল্যে প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন মার্কেটিং কমিটির আহ্বায়ক শামসুল আরেফিন প্যাটেল কৌশলে নিজ বেনামী প্রতিষ্ঠান ‘ডায়নামিক করপোরেশন’ বার বার এ প্রকল্পের কার্যাদেশ পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সর্বশেষ সব টেন্ডারকে ‘নন-রেসপনসিভ’ দেখিয়ে ৯ কোটি টাকার কাজের জন্য ১৯ কোটি টাকার কার্যাদেশ বাগিয়ে নেন নিজ প্রতিষ্ঠান ডায়নামিক করপোরেশনের মাধ্যমে। অরিজিন ইতালির পরিবর্তে বেলজিয়ামের যন্ত্রপাতি সরবরাহের চেষ্টা করায় ১৩ জুন এলসির অর্থ নগদায়ন আটকে দেন বাংলাদেশ মিল্ক প্রডিউসার কো-অপারেটিভ ইউনিয়ন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। পরে এ অর্থ সমবায় অধিদপ্তরের যুগ্ম নিবন্ধক ও মিল্কভিটার পরিচালক মোমিনুল হক তালুকদার, গোলাম মোস্তফা নান্টু ছাড় করানোর চেষ্টা করেন মর্মে অভিযোগ ওঠে।
এদিকে মিল্কভিটার প্লান্ট স্থাপন, মেরামত ও যন্ত্রাংশ ক্রয়ের বেনামী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে মিল্কভিটার ব্যবস্থাপনা কমিটির পরিচালক শামসুল আরেফিন প্যাটেল বলেন, আমি তো এবার মাত্র পরিচালক হয়েছি। ডায়নামিক করপোরেশনের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। এটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তোফাজ্জল হোসেন। আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্যই এসব অভিযোগ আনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাঘাবাড়ী কনডেন্সড মিল্ক প্লান্ট স্থাপনে অর্ধকোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে এর আগেও দুদক অনুসন্ধান শুরু করে। ২০০৮ সালে তৎকালীন স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের একটি তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে অনুসন্ধানটি শুরু হলেও বিগত কমিশন রাজনৈতিক প্রভাব ও অদৃশ্য ইশারায় অনুসন্ধানটি বাছাই পর্যায়েই নথিভুক্ত করে। মিল্কভিটার দুর্নীতি অনুসন্ধান প্রসঙ্গে দুদক সচিব আবু মো: মোস্তফা কামাল বলেন, অনুসন্ধানে সব প্রশ্নের জবাব না মিললে একই বিষয়ে আবারো অনুসন্ধান হতে পারে। বর্তমান কমিশন তফসিলভুক্ত যেকোনো দুর্নীতির অনুসন্ধান চালাতে বদ্ধপরিকর। দুর্নীতির বস্তুনিষ্ঠ অভিযোগের অবশ্যই অনুসন্ধান হবে এবং এর একটি যৌক্তিক পরিণতি দৃশ্যমান হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন