শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

চট্টগ্রামে সীমিত পরিসরে চালু ১৭৫ গার্মেন্টস

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৭ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০৪ এএম

ঝুঁকির মধ্যেই চট্টগ্রামে রফতানিমুখী ১৭৫টি কারখানা সীমিত আকারে চালু হয়েছে। গতকাল রোববার দুটি ইপিজেড এবং নগরীর বিভিন্ন এলাকায় দেশি-বিদেশি এসব কারখানায় আংশিক উৎপাদন শুরু হয়। টানা শাটডাউনের মধ্যে কারখানামুখী শ্রমিকদের ভিড়ে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের বিষয়টি ভেঙ্গে পড়ে। বিশেষ করে সকালে অফিস শুরু আর বিকেলে ছুটির পর দুটি ইপিজেডের প্রধান ফটকে রীতিমত জটলা সৃষ্টি হয়।
চট্টগ্রাম ইপিজেডের জিএম খুরশিদ আলম ইনকিলাবকে বলেন, ৭৫টি কারখানা শ্রমিকদের সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য বিধি মেনেই উৎপাদন শুরু করে। বিদেশি ক্রেতাদের কার্যাদেশ রয়েছে এমন কারখানা খোলার অনুমোতি দেয়া হয়েছে। প্রথম দিনে প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক কাজে যোগ দিয়েছে বলেও জানান তিনি। এ ইপিজেডে মোট শ্রমিক দুই লাখ, কারখানা ১৭৮টি।
কর্ণফুলী ইপিজেডের জিএম মশিউদ্দিন বিন মেজবা ইনকিলাবকে বলেন, ২৫টি কারখানায় চালু হয়েছে সীমিত আকারে। আংশিক কাজ হচ্ছে তাই কারখানার সব শ্রমিককে আসতে হচ্ছে না। প্রায় দশ হাজার শ্রমিক কারখানাগুলো কাজ করেছে।এই ইপিজেডে কর্মরত শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় পৌনে এক লাখ।
বিজিএমইএর একজন কর্মকর্তা জানান, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গতকাল নতুন করে আরও ১৫টিসহ মোট ৭৫টি পোশাক কারখানা আংশিক চালু হয়েছে। যেসব শ্রমিক কারখানার আশপাশে থাকে তারাই কাজে যোগ দিয়েছে। জরুরি রফতানির জন্য সীমিত আকারে এসব কারখানা খোলা থাকবে। কিছু কারখানা তাদের শ্রমিকদের নিজস্ব বাসে আনার ব্যবন্থা করে। অনেকে হেঁটে অথব রিকশায় এসে কাজে যোগ দেয়। এদিকে শাটডাউনের মধ্যে কারখানা খুলে দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। তিনি বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ স্বাস্থ্য বিধি মানা না হলে দুইটি ইপিজেড লাগোয়া ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি আরো বাড়বে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন