শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ ২০ বছর পর কারামুক্ত শতবর্ষী ওয়াহিদুন্নেসা

প্রকাশের সময় : ২০ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার হস্তক্ষেপে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত প্রায় ১০০ বছর বয়সী ওয়াহিদুন্নেসা। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মুক্তি পান তিনি। ওয়াহিদুন্নেসা চাঁদপুরের মতলব উপজেলার জোড়াখালী এলাকার সালামত প্রধানিয়ার স্ত্রী। শতবর্ষী এই নারী ওই হত্যা মামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত স্বামী এবং যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্ত ছেলে ও পুত্রবধূসহ ২০ বছর কারাভোগ করেছেন। কাশিমপুর নারী কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা সাংবাদিকদের বলেন, গত ২৬ জুন কাশিমপুর কারাগার পরিদর্শন করেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। পরে নারী কারাগার পরিদর্শনের সময় ওয়াহিদুন্নেসার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ সময় ওয়াহিদুন্নেসাকে জেল আপিলের মাধ্যমে রিভিউ আবেদন করতে বলেন প্রধান বিচারপতি। পরে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে সাজার রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করা হয়। ওয়াহিদুন্নেসার রিভিউ আবেদনের শুনানি শেষে গত সোমবার যাবজ্জীবন সাজার রায় বাতিল করে তাকে মুক্তির রায় দেন আপিল বেঞ্চ। সোমবারই রাতেই ওয়াহিদুন্নেসার রায়ের অনুলিপিসহ মুক্তির কাগজপত্র কারাগারে এসে পৌঁছে। কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়। তিনি আরো জানান, হত্যা মামলায় ২০০০ সালে ওয়াহিদুন্নেসার যাবজ্জীবন কারাদ- হয়। পরে ৭ বছর অন্য কারাগারে থাকার পর ২০০৭ সাল থেকে তিনি কাশিমপুর নারী কারাগারে বন্দি ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, জমিসংক্রান্ত মামলা-মোকদ্দমা থাকা এবং শত্রুতার জেরে ১৯৯৭ সালের ২৯ জুন রাতে চাঁদপুরের মতলব থানার জোরাখালী গ্রামের হযরত আলীসহ পরিবারের আট সদস্যকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মতলব থানার হত্যা মামলায় ওই বছরই গ্রেফতার হন ওয়াহিদুন্নেসা। এরপর থেকেই তিনি কারাগারে বন্দি ছিলেন। হত্যা মামলায় ২০০০ সালের চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ ১২ জনকে মৃত্যুদ- এবং ওয়াহিদুন্নেসাসহ ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেন। বিচার চলাকালে মারা যান দুই আসামি। ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি নিয়ে ২০০৪ সালের রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত সফিকুল ইসলাম মন্টু ও ছালামত প্রধানিয়ার সাজা বহাল রাখা হয়। ছালামত প্রধানিয়া ওয়াহিদুন্নেসার স্বামী। খালাস পান নয় আসামি। যাবজ্জীবন সাজা বহাল থাকে আলী হোসেন, ওয়াহিদুন্নেসা ও ভানু আক্তারের। যাবজ্জীবন সাজা বহালের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন ওয়াহিদুন্নেসা। ২০০৭ সালের ১২ আগস্ট ওই আপিল খারিজ করে দেন তৎকালীন আপিল বিভাগ। তাকে যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করতে হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
রিফাত ২০ জুলাই, ২০১৬, ১:০৬ পিএম says : 0
প্রধান বিচারপতিকে অসংখ্য ধন্যবাদ
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন