বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আইসিটি এন্ড ক্যারিয়ার

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অনলাইনে রোজার কেনাকাটা বাড়ছে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ এপ্রিল, ২০২০, ১:১৭ পিএম

এবারের রমজানে আগের মতো দোকানিরা এখন ইফতারের পসরা সাজিয়ে বাইরে বসতে পারছেন না। তাতে কি হয়েছে? থেমে নেই কেনাকাটা। অনলাইনে অর্ডার করেই এখন ইফতার কিনছেন ক্রেতারা। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে অনলাইনে রমজানের কেনাকাটা বাড়ছে। লোকজন বাড়ির বাইরে বের হতে না পারায় অনলাইনেই বিভিন্ন জিনিস অর্ডার করছে।
মালয়েশিয়ায় ১৫ বছর ধরে খাবারের ব্যবসা সিতি জাবেদাহ আবদুল ওয়াহাবের পরিবারের। রমজানে বিভিন্ন ধরনের খাবারের বেশ চাহিদা থাকে। রোজার সময় বিভিন্ন মুখরোচক খাবার, বিশেষ করে মাংস দিয়ে তৈরি এক ধরনের রুটি সেখানে বেশ জনপ্রিয়।
চলতি বছর তারা আর আগের মতো আয়োজন করে খাবার বিক্রি করতে পারছেন না। কিন্তু তাই বলে বেচা-কেনা কিন্তু থেমে নেই। এ বছর হোয়াটসঅ্যাপ আর ফেসবুকেই খাবারের অর্ডার নিচ্ছেন তারা।
গত ২৩ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান। বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা রমজান মাসে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য রোজা রাখেন। প্রতি বছরই পবিত্র রমজান মাসে এক ধরনের উৎসবের আমেজ বিরাজ করে।
কিন্তু এ বছর প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী মহামারি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ফলে এবার রমজানের চিত্র একেবারেই ভিন্ন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে রমজানের কেনাকাটা, বাইরে দোকান বসিয়ে ইফতার বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
করোনার বিস্তার যেন না বাড়ে সেজন্যই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ৩৮ বছর বয়সী সিতি জাবেদাহ বলেন, এই প্রথম আমরা অনলাইনে বেচাকেনা করছি। সে কারণে আমরা আগে থেকেই শুরু করতে চেয়েছি যেন আমাদের ক্রেতারা আমাদের খুঁজে পায়।
রমজানে নানা ধরনের খাবারের আয়োজন করে থাকেন মুসল্লিরা। লোকজন একে অপরের বাড়িতে গিয়ে একসঙ্গে ইফতার করেন। কিন্তু এ বছর কেউ কারো বাড়িতে যেতে পারছেন না। নিজেদের বাড়িতেই ইফতার করতে হচ্ছে তাদের।
এর ফলে যারা এতদিন রমজানের সময় ইফতারের দোকান সাজিয়ে বসতেন তারা এখন অনলাইনেই কেনা-বেচা শুরু করে দিয়েছেন। ইন্দোনেশিয়াতেও একই চিত্র লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
ইন্দোনেশিয়ায় বসবাসরত এক ব্যবসায়ী জানান, সেখানে হোয়াটস অ্যাপে যে কোনো কিছু অর্ডার করা যায়। তবে ফুটপাতে দোকান সাজিয়ে বসা বিক্রেতারা এ বছর বড় ধরনের লোকসানে পড়েছেন। তারা না পারছেন অনলাইনে ব্রিক্রি করতে, না পারছেন ফুটপাতে বসতে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন