করোনাভাইরাসের কারনে সাধারণ ছুটি চলছে। তবে যারা জরুরি সেবার সাথে জড়িত তাদেরকে ছুটির ভেতরেও কর্মস্থলে গিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। গণমাধ্যমকর্মীরাও ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন।
ইতোমধ্যে গার্মেন্টসসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ধীরে ধীরে খুলে দেওয়া শুরু হয়েছে। যেখানে অনেক লোক একসঙ্গে কাজ করেন। এই অবস্থায় করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। নিজেকে কীভাবে নিরাপদ রাখবেন তা কি ভেবেছেন?
যেসব অফিসে উন্নত পরিবেশে তুলনামূলক কম লোক কাজ করেন, তারা নিজেদের নিরাপদ ভাবছেন অনেকেই। কিন্তু মনে রাখতে হবে, করোনা মহামারীতে খারাপ বা ভালো পরিবেশের কারণে কেউ আক্রান্ত হয় না। আক্রান্ত হয় সতর্কতার অভাবে।
বাজারে যাওয়ার সময় মাস্ক ব্যবহার করলেও অনেকেই নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছেন না। যারা অফিসে কাজ করেন তাদের কেউ কেউ বাসায় ফিরে গোসলও করছেন। অথচ অফিসে কাজ করার সময় বা ফিরে এসে সেই সাবধনতা অনেকেই মানছেন না।
এই নিয়ম না মানার প্রবণতার মধ্যে যে বা যিনি আছেন তিনি নিজের এবং সবার জন্য বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারেন। কারণ অফিসের সহকর্মীরা তাদের পরিবার-বা চারপাশের অনেকের সংস্পর্শে আসেন। তাদের কারো মাধ্যমেও ভাইরাসের সংক্রমণের শিকার হতে পারেন আপনি।
নিজে সুস্থ থাকতে ও পরিবারের সবাইকে নিরাপদে রাখতে অফিসেও কিছু নিয়ম মেনে চলুন। এগুলো শুধু পোশাক শ্রমিক, পুলিশ বা স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্যই জরুরি না। কর্পোরেট হাউস, ব্যাংক বা মিডিয়াসহ অন্য যে পেশাতেই থাকুন না কেন নিয়ম সবার জন্যই এক।
প্রথমত পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করুন। প্রতিদিন বাসা থেকে ধোয়া পরিষ্কার পোশাক পরে অফিসে যাবেন। কর্মস্থলে পৌঁছেই প্রথম কাজটি হবে হাত সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে বা স্যানিটাইজার মেখে জীবাণুমুক্ত করা।
যতটা সম্ভব বাইরে না গিয়ে অনলাইনে প্রয়োজনীয় কাজটি করার চেষ্টা করুন। স্বাভাবিক সময়ের মতো অফিসে অথিতিকে না ডাকাই সবচেয়ে ভালে। যদি কোনো ভিজিটর এসেই পড়েন, তাহলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে বিদায় করে দিন।
অফিসের ভেতরেও সব সময় মাস্ক ব্যবহারের চেষ্টা করুন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পরস্পরের থেকে এক মিটার দূরে বসে কাজ করুন। এতে আপনি নিজে যেমন নিরাপদ থাকবেন তেমনি অফিসে সহকর্মী এবং পরিবারও নিরাপদ থাকবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন