খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় দেবীতলা এলাকায় ১৯৯৬ সালে ১০ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হয়েছে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট’র লবনাক্ততা ব্যবস্থাপনা ও গবেষণা কেন্দ্র। এখানে রয়েছে এলাচ, চুইঝাল, ড্রাগন ফ্রুটি, টমেটো, শিমসহ নানাবিধ সবজি, সুর্যমুখী ও ভুট্টা। রয়েছে ভাসমান নানা প্রজাতির কৃষি।
সূত্র জানিয়েছে, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউট এর উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ব্যবহার করে বটিয়াঘাটা উপজেলার ১১০ জন কৃষক প্রায় ৬০০ বিঘা জমিতে পলি ব্যাগে চারা রোপন পদ্ধতিতে তরমুজের চাষ ৫৭৫ বিঘা, সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগে বোরো ধান ১০ বিঘা ও সবজি চাষ ৫ বিঘা, বিনা চাষে ডিবলিং, চারা রোপন ও পলি ব্যাগের চারা রোপন পদ্ধতিতে ভুট্টা চাষ ১০ বিঘা করা হয়েছে। লবণাক্ত এলাকায় এক ফসল আবাদ করা হয় আমন মৌসুমে, শুষ্ক মৌসুমে ফসল আবাদের মূল সমস্যা লবণাক্ত পানি।
আমন ধান কাটার পর এলাকার জমি পতিত অবস্থায় পড়ে থাকে। এখন পতিত জমিতে ফলছে সোনা। কৃষকের মুখে ফুটছে হাসির ফোয়ারা। রোপন কৃত তরমুজের মধ্যে রয়েছে ড্রাগন, গঙ্গা, হানিকুইন ও বিগ ফ্যামেলি। ভুট্টার মধ্যে রয়েছে বারী, হাইব্রিড-১৬ ও সামিট। উচ্ছের মধ্যে রয়েছে গঙ্গা জলি। মিষ্টি কুমড়ার মধ্যে রয়েছে সুইন্ট। চিচিঙ্গার মধ্যে রয়েছে আশা ও পদ্মা। বোরোর মধ্যে রয়েছে মিতালী-৪, আফতাব-৭০ এবং ছক্কা-১২০৩। প্রদর্শনীতে রোপিত ভুট্টায় কিছু কিছু ফুল আসছে। এরই মধ্যে ভুট্টা কাটা শুরু হচ্ছে এবং মে মাসের মধ্যে ঘরে তোলা যাবে বলে কৃষক জানিয়েছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফলন ভালো হবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রোপিত ভুট্টা চারার চেয়ে পলি ব্যাগের চারা কিছুটা বড়, দেখতেও বেশ ভালো।
গতবছর ২৫ বিঘা জমিতে ও চারা ভুট্টার আবাদ করা হয়। কৃষক ছিলেন ১৫জন। উৎপাদন হয়েছিল প্রতি হেক্টরে ৮টন। ২৬ টন ভুট্টা উৎপাদন হয়েছে। যার মূল্য দাঁড়ায় ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাদের উৎপাদিত পন্য কিনে নিয়ে যায়। কৃষককে সার ও বীজসহ সকল উপকরণ বিনামূল্যে প্রদান করেছে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন