প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সবচেয়ে বেশি বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে ১০ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। দেশটির বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে যে, প্রশিক্ষিত কর্মী ও সরঞ্জামের ঘাটতির কারণে সীমিত পরীক্ষার আওতায় আক্রান্তদের অনেকই অশনাক্ত অবস্থায় রয়ে গেছেন। এরমধ্যেই, গত ১৮ দিনে যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে ১০ লাখের সীমা পার করেছে।
বিগত ৫ সপ্তাহের ব্যবধানে করনোভাইরাসে আক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের ৭টি রাজ্যে মোট মৃত্যুর হার স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি বেড়েছে। সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্র্রল-সিডিসি কর্তৃক প্রকাশিত নতুন পরিসংখ্যান অনুসারে এখন পর্যন্ত দেশটিতে ৫৯ হাজার ২৬৬ জন করোনাভাইরাসে মারা গেছে। সিডিসি’র আনুষ্ঠানিক গণনা অনুসারে রাজ্যগুলিতে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য স্থানের তুলনায় করোনা সংক্রমণে ৯ হাজারেরো বেশি মৃত্যু ঘটেছে।
গত ৮ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো, ইলিনয়, মেরিল্যান্ড, ম্যাসাচুসেটস, মিশিগান, নিউ ইয়র্ক এবং নিউ জার্সিতে সমস্ত ধরনের কারণ জনিত মৃত্যুর ঘটনা স্বাভাবিক হারের চেয়ে অনেক বেশি বেড়ে গেছে। স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উপর চাপ এবং করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার আশঙ্কায় কিছু আমেরিকান সাধারণভাবে আরোগ্য যোগ্য অসুস্থতায়ও মৃত্যুবরণ করেছে, এমন প্রমাণও বাড়ছে।
মৃত্যুর পরিসংখ্যানগুলো নির্ভুল না হলেও সিডিসি যুক্তরাষ্ট্রে মারা যাওয়া প্রত্যেকের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করতে মৃত্যুর বিশদ শংসাপত্র ব্যবহার করে। তবে এই প্রক্রিয়াটি সাধারণত সম্পূর্ণ হতে ১ বছরেরও বেশি সময় নেয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন