স্টাফ রিপোর্টার : অর্থ পাচার মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আপিলের রায় আজ বৃহস্পতিবার। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেন সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেবেন। একইসঙ্গে এই মামলায় সাজার বিরুদ্ধে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের আপিল আবেদনের ওপরও রায় দেবেন আদালত। নি¤œ আদালতে তারেকের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের আপিল এবং দ-াদেশের বিরুদ্ধে মামুনের করা আপিলের ওপর শুনানি শেষে গত ১৬ জুন এ বেঞ্চ মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রেখেছিল। বুধবার প্রকাশিত হাইকোর্টের দৈনন্দিন কার্যতালিকায় বৃহস্পতিবারের তারিখে ৪ নম্বর ক্রমিকে দুটি আপিল রায়ের জন্য হয়। এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান কবির বলেন, শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করা হবে। ওই মামলায় বিভিন্ন সময়ে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান কবির। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ঘুষ হিসেবে গ্রহণের পর ২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে করা মামলার রায়ে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ মো. মোতাহার হোসেন ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দেন। এ মামলায় তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে দেয়া হয় সাত বছরের কারাদ-, করা হয় ৪০ কোটি টাকা জরিমানা। তারেককে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুদক ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর হাইকোর্টে আপিল আবেদন করে। শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট দুদকের আপিল গ্রহণ করেন। মামলাটি দায়ের থেকে শুরু করে পুরো বিচার প্রক্রিয়াতেই অনুপস্থিত ছিলেন তারেক রহমান। কয়েক দফা তাকে সমনও পাঠানো হয়। আট বছর ধরে তিনি যুক্তরাজ্যে রয়েছেন। রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর দায়ের করা এ মামলায় তারেক-মামুনের বিচার শুরু হয় ২০১১ সালের ৬ জুলাই।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন মামুন। ২০০৩-২০০৭ সালের মধ্যে বিভিন্ন পন্থায় ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংকে মামুনের হিসাবে পাচার করা হয়, যার মধ্যে তিন কোটি ৭৮ লাখ টাকা তারেক খরচ করেন বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন