হাইকোর্টের নির্দেশনা সত্তে¡ও করোনা প্রতিরোধ-নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সরঞ্জাম না কেনা এবং উপদেষ্টা কমিটি গঠন না করায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা নোটিস দেয়া হয়েছে। গতকাল রোববার ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশ’র পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ ই-মেইলে এ নোটিস দেন।
নোটিসে বলা হয়, বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে মহামারী ঘোষণা করেছে। ভাইরাসটির প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সরঞ্জাম না থাকার বিষয়ে গত ২০ মার্চ সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিষয়টি উদ্ধৃত করে ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশ’ একটি রিট করে। শুনানি শেষে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল এবং বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের ডিভিশন বেঞ্চ সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেন। অন্তর্বর্তীকালিন আরেক আদেশে আদালত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবকে দ্রুত ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় পারসোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই), গ্লাভস, স্যানিটাইজার, সার্জিক্যাল মাস্ক, গাউন, সু-কভার, স্বাস্থ্য সুরক্ষা যন্ত্রপাতি ও মেডিসিনের তালিকা করতে বলা হয়। তালিকা অনুসারে উপকরণগুলো দ্রুত সংগ্রহ করে সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার/নার্স/কর্মকর্তা কর্মচারীদের সরবরাহ করতে বলা হয়। অপর এক আদেশে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১৮ এর ৬ ধারা অনুসারে উপদেষ্টা কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দেয়া হয়। আদালতের এসব নির্দেশনা বিবাদীগণ যথাযথভাবে প্রতিপালন করেননি।
নোটিসে স্বাস্থ্য সচিব আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ, অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) সিরাজুল ইসলাম ও পরিচালক সিএমএসডি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহিদুল্লাহকে বিবাদী করা হয়েছে।
নোটিসের বিষয়ে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ ‘ইনকিলাব’কে বলেন, পর্যাপ্ত পিপিই, গ্লাভস, স্যানিটাইজার, সার্জিক্যাল মাস্ক, গাউন, সু-কভার, স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ সরবরাহের অভাব রয়েছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন স্তরের ডাক্তার/নার্সদের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে। এমনকি আইনের ৬ ধারা অনুসারে উপদেষ্টা কমিটি গঠনের বিষয় কোনো সংবাদ এখনও সংবাদ মাধ্যমে আসেনি। আদালতের আদেশ যথাযথ ভাবে পালিত না হওয়ায় প্রায় ৩ শতাধিক ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের করোনা আক্রান্তের বিষয়ে বিবাদীগণ দায় এড়াতে পারেন না। এ কারণে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিস পাঠিয়েছি। প্রাপ্তির ৩ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে নোটিসে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা মামলা দায়ের করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন