কর্পোরেট ডেস্ক : তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানচেষ্টার পর এশিয়ার পুঁজিবাজারে তেমন প্রভাব পড়েনি। বরং ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। বিবিসি ও সিএনবিসির খবর থেকে জানা গেছে, তুরস্কের ঘটনা নিয়ে এশিয়া, ইউরোপ ও মার্কিন বাজারে বড় ধরনের আতঙ্ক কাজ করছিল। কিন্তু সে আতঙ্ক আর টিকেনি। বরং এশিয়ার বড় বড় পুঁজিবাজারে দেখা গেছে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, সোমবার জাপানের নিক্কেই সূচক বেড়েছে ০.৬৮ শতাংশীয় পয়েন্ট, হংকংয়ে সূচক বেড়েছে ০.৬৬ শতাংশ, অস্ট্রেলিয়ায় বেড়েছে ০.৫৩ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়ায় বেড়েছে ০.১৯ শতাংশ। ভারতের বাজারও ছিল ইতিবাচক। তবে নেতিবাচক ছিল সাংহাইয়ের বাজার। সাংহাইতে সূচক কমেছে ০.৩৪ শতাংশ। ইস্তানবুলের শেয়ারবাজারে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ২.৫ শতাংশ পতনে লেনদেন শুরু হয়েছে। সোমবার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে তুরস্কের মুদ্রা লিরা ছিল ইতিবাচক অবস্থানে। গত সেপ্টেম্বরে ডলারের বিপরীতে লিরার মান রেকর্ড পরিমাণ কমে যায়। কিন্তু সেখান থেকে সোমবার ঘুরে দাঁড়ায় এ মুদ্রা। এদিন ডলারের বিপরীতে লিরার মান ৩ শতাংশ বেড়েছে। এর মাধ্যমে তুরস্কের বাজার নিয়ে যে আশঙ্কা ছিল তা অনেকটা কেটে গেছে। বিনিয়োগকারীরাও নিশ্চিত হয়েছেন, এখন পরিস্থিতি অনেকটা শান্তের দিকে। সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সব ধরনের নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলা হয়েছ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ব্যাংকগুলোর কাছে তারা পর্যাপ্ত তারল্য সরবরাহ করবে। সোমবার ইস্তানবুলে ডলারের বিপরীতে লিরার লেনদেন হয় ২.৯২৭- এ। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যা ছিল ৩.০১৫৭ লিরাতে। সে হিসেবে লিরার মান বেড়েছে প্রায় ২ শতাংশ। শুক্রবার ইস্তানবুলের ন্যাশনাল ১০০ সূচক বেড়েছিল প্রায় ১৫ শতাংশ; যা ছিল এ বছরে সর্বোচ্চ রেকর্ড। সোমবার সরকারি বন্ডের লভ্যাংশও বেড়েছে। তবে এখনও আতঙ্ক রয়েছে পর্যটন শিল্পে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন