করোনাভাইরাস বিষয়ক ২টি নতুন গবেষণা থেকে জানা গেছে, শিশুদের মাধ্যমে সংক্রমণ বিস্তার লাভ করতে পারে। নতুন গবেষণার ফলাফল বিবেচনায় রেখে মহামারীবিদরা বলছেন, স্কুলগুলি যদি খুব শিগগিরই আবার চালু হয় তবে যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমণের বিস্তার আরো বাড়তে পারে।
ইসরাইল, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস এবং যুক্তরাজ্যসহ আরো অনেক দেশে স্কুলগুলি আবার চালু করা হয়েছে বা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এটি করার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। মহামারী বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, উল্লেখিত দেশগুলিতে সামাজিক সংক্রমণের মাত্রা যথেষ্ট কম থাকায় ঝুঁকি নেয়া সম্ভব। তবে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশ স্কুল চালু করলে পুনরায় সংক্রমণ ঘটতে পারে এবং একক সংক্রমণ থেকে বহুজনে মারাত্মক পর্যায়ে মহামারী ছড়িয়ে যেতে পারে।
সায়েন্স জার্নালে গত সপ্তাহে প্রকাশিত এক গবেষণায় চীনের ২টি শহর উহান, যেখানে ভাইরাসটি প্রথম প্রকাশ পেয়েছিল এবং সাংহাই থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, শিশুদের প্রায় এক তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই করোনাভাইরাস সংক্রমণের সংবেদনশীল ছিল। তাদের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে গবেষকরা অনুমান করেন যে, স্কুলগুলি বন্ধ করে দেয়া মহামারীর বিস্তার ঠেকাতে যথেষ্ট নয়। তবে, এভাবে প্রায় ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ সংক্রমণ হ্রাস করা যেতে পারে এবং মহামারীর বিস্তার ধীর হতে পারে।
একদল জার্মান গবেষকের ২য় সমীক্ষাটি ছিল আরো সোজাসাপ্টা। দলটি বাচ্চাদের এবং প্রাপ্তবয়স্কদের পরীক্ষা করে দেখেছে যে, বাচ্চারা প্রাপ্তবয়স্কদের মতো একই হারে ভাইরাস বহন করে। কখনো কখনো আরো বেশি এবং সম্ভবত একইরকমভাবে সংক্রামক। সে কারণে তারা মনে করেন যে, স্কুলগুলি বন্ধ থাকলে ভাইরাসের পুনরুৎপাদন সংখ্যা কমে যেতে পারে।
তবে কিছু বিশেষজ্ঞ মন্তব্য করেছেন, স্কুলগুলি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা কেবল অবৈধ নয়, এতে শিশুদের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি করতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা সকলেই একটি বিষয়ে একমত হয়েছেন যে, স্কুলগুলি কীভাবে পুনরায় চালু করা হবে, তা নিয়ে সরকারগুলোর সক্রিয় আলোচনায় বসা উচিত।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের বøুমবার্গ স্কুল অফ পাবলিক হেলথের মহামারী বিশেষজ্ঞ জেনিফার নুজো বলেন, স্কুলগুলি পুনরায় খোলার সিদ্ধান্ত কেবল সংক্রমণ রোধ করার চেষ্টার ভিত্তিতে নেয়া উচিত নয়। তবে, সংক্রমিত অবস্থায় বাসা থেকেই শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে বাচ্চাদের।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন