ভারত প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস দমনে চেষ্টা করলেও এখন পর্যন্ত তা দেশটিতে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফলে করোনার এ প্রভাব বছরজুড়ে অব্যাহত থাকলে দেশটির জিডিপির প্রবৃদ্ধি শূন্যের কোটায় নেমে যাবে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক অর্থনীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান মুডি’স। -রয়টার্স, হিন্দুস্তান টাইমস
আজ ৮ মে এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানায়, ২০২১ সালের অর্থবছরে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি আশা করা যাচ্ছে না। তবে ২০২২ সালে ৬.৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে এক লাফে দেশটির অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে। ২০২১ সালের ঘাটতি বাজেট হিসেবে জিডিপির ৩.৫ শতাংশ ধরা হবে মনে করা হলেও মূলত তা বেড়ে ৫.৫ শতাংশে দাঁড়াবে।
মুডি’স-এর ভবিষ্যদ্বাণীতে বলা হয়, যদি জিডিপি প্রবৃদ্ধি নূন্যতম অর্জিত না হয়, তাহলে জাতীয় বাজেট বড় আকারে সংকুচিত হবে এবং ব্যাপক ঋণের বোঝায় পড়ে যাবে নরেন্দ্র মোদির এ দেশটি। দেশজুড়ে করোনা ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করায় স্থিতিশীল অর্থনীতির সম্ভাবনা ব্যাপকভাবে কমে যাবে।
মুডি’স জানায়, দেশটির নিম্নতর রাজস্ব আয় ও প্রবৃদ্ধির সঙ্গে এবার যুক্ত হচ্ছে করোনা মহামারি সঙ্কট। ফলে আগামী কয়েকবছরে করোনায় জর্জরিত দেশটির ঋন অনুপাত বেড়ে ৮১ শতাংশে দাঁড়াবে। করোনায় দরিদ্রদের ত্রাণ কার্যক্রমে ১.৭ ট্রিলিয়ন রুপির প্রণোদনা হাতে নিয়েছে দেশটির সরকার।
এর আগে হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে ওঠে আসে, অর্থনীতির উপর কতটা প্রভাব পড়তে পারে, তা নিয়ে ১৪ এপ্রিল মোদীর ভাষণের কিছুক্ষণের মধ্যে পূর্বাভাস দিয়েছে Barclays। ব্রিটিশ সংস্থা জানিয়েছে, প্রথম ২১ দিন লকডাউনের জেরে ১২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লোকসান হচ্ছে। আর লকডাউন বাড়ানোর ফলে সেই ক্ষতির বোঝা বেড়ে হবে ২৩৪.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। একইসঙ্গে চলতি বছরে ভারতের আর্থিক প্রবৃদ্ধির হার শূন্যে ঠেকবে বলে পূর্বাভাস Barclays-এর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন