বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

জঙ্গিবাদের লক্ষ্য ইসলাম ধ্বংস দেশ দখল ও সম্পদ লুণ্ঠন -ওলামা লীগ নেতৃবৃন্দ

জঙ্গির জামিনপ্রাপ্তি পুলিশের গাফিলতি

প্রকাশের সময় : ২২ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে সন্ত্রাসী হামলার গডফাদার হচ্ছে ইঙ্গ-মার্কিন ও ইহুদি শক্তি এবং তাদের দোসররা। মুসলমানদের বিতর্কিত করতে এবং জঙ্গি হামলার মাধ্যমে মুসলিম দেশসমূহকে অকার্যকর করে সেখানে তাঁবেদার সরকার বসিয়ে সম্পদ লুণ্ঠন ও মুসলিম হত্যাই তাদের মূল লক্ষ্য। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তাদের একই উদ্দেশ্য, আর এই উদ্দেশ্য সফলের জন্য বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদের আওতায় আনতে এবং বাংলাদেশে আইএস আছে বলে তারা ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছে। আর তারই চক্রান্তের অংশ হচ্ছে গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলা। আর এ হামলা পরিচালনার জন্য ইহুদি-নাসারাদের বাংলাদেশী এজেন্টরা রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নামে তরুণ-যুবকদের জঙ্গি বানিয়ে ব্যবহার করছে। বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের কার্যকরী সভাপতি আলহাজ হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ কাজী মাওলানা আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, হাফেজ মোস্তফা চৌধুরী ও হাফেজ মাওলানা আব্দুল জলিল এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
তারা আরো বলেন, মওদুদীবাদী জামায়াতই হচ্ছে জঙ্গি হামলার বাস্তবায়নকারী। জামায়াত নেতা ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ও চৌধুরী মাঈন উদ্দীন গংরা লন্ডন থেকে বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা তৈরি করে ঘটনাগুলো সংঘটিত করাচ্ছে। দেশবাসী জানে উল্লেখিত জামায়াতীরা ’৪১ সালে ব্রিটিশদের দালালী, ’৪৭ সালে পাকিস্তানের বিরোধিতা. পুনরায় ’৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর পক্ষ অবলম্বন করে বাঙালি মজলুম জনতার ওপর নির্বিচারে হত্যাসহ বিভিন্ন অপকর্ম সংঘটিত করেছে। স্বাধীনতার পর থেকে অদ্যাবধি একটি দিনের জন্যও বাংলাদেশের বিরোধিতা থেকে তারা ক্ষ্যান্ত ছিল না। মওদুদীবাদী জামায়াতীরা গুলশান ও শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী জঙ্গি হামলা চালিয়ে ইঙ্গ-মার্কিন ও ইহুদি-নাসারাদের টাকা জায়েজ করিয়ে দিব্যি আয়াসে আছে। তাদের নেটওয়ার্কের উর্বর স্থান হচ্ছে নর্থ সাউথ, আল-মানারাতসহ ব্যবসায়িক ও আবাসিক স্থানসমূহ। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, এই মওদুদীপন্থী জামায়াতীরাই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নামে জঙ্গি ও টার্গেট হামলার ঘটনা ঘটাচ্ছে। এসব তথ্য সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদে প্রকাশিত হয়েছে। সুতরাং টার্গেট কিলিং সন্ত্রাসী ও জঙ্গি হামলার বিষয়ে এ যাবৎ যত সন্ত্রাসী ও জঙ্গি গ্রেফতার হয়েছে তাদের রিমান্ডে নিয়ে বিশ্বাসযোগ্য গোয়ান্দাদের দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বাংলাদেশ জামায়াত কর্র্তৃক জঙ্গি কার্যক্রম ও লন্ডন কানেকশনের তথ্য বেরিয়ে আসবে। একই সাথে বেরিয়ে আসবে অর্থ সহায়তাকারীদের গোপন তথ্য ও পথ। নেতৃবৃন্দ বলেন, এ যাবৎ যত জঙ্গি সন্ত্রাসী গ্রেফতার হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে তাদের নির্দেশদাতাদের একটি নামও গোয়েন্দারা জাতির সামনে প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়েছে। আর এতে মওদুদী জাতায়াত তাদের অপকর্মে উৎসাহিত হচ্ছে। অপরদিকে জামায়াত তার অপকর্মের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পক্ষে রাখতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে বলেও অভিযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য, ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন বলেছেন, ঝিনাইদহে জঙ্গিদের কোনো আস্তানা নেই। অথচ ঝিনাইদহ শহরের সোনালীপাড়ায় চার কক্ষের একটি ঘর ভাড়া নিয়ে গুলশান হামলায় জড়িত জঙ্গি নিবরাস ইসলাম এবং কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় পুলিশের ওপর হামলায় জড়িত জঙ্গি আবির রহমান যে অবস্থান করেছিল, সেটা বাড়ির মালিকের স্ত্রী, স্থানীয় লোকজনই শনাক্ত করেছেন। সুতরাং জঙ্গি আস্তানা খুঁজে পেতে গোয়েন্দা বাহিনী ও পুলিশের কার্যক্রমের বিষয়টি প্রশ্নের সম্মুখীন। নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদে বলা হয়েছে গ্রেফতারকৃত জঙ্গি-সন্ত্রাসীরা জামিনে বের হয়ে এসে দিগুণ মাত্রায় তারা তাদের অপকর্ম শুরু করে। তারা বলেন, প্রকাশিত সংবাদ সূত্রে বলা হয়েছে, গ্রেফতারকৃত জঙ্গি-সন্ত্রাসীরা জামিন পায় তা পুলিশের গাফিলতির কারণে। এ কারণেই চট্টগ্রামে ২০ জঙ্গি ও ৩০ মদদদাতা জামিন পেয়েছে। এ বিষয়ে আইনজীবীরা বলেছেন, পুলিশের গাফিলতি ও দুর্বলতার কারণেই এসব জামিনপ্রাপ্তির ঘটনা ঘটছে। তাই সরকারকে জঙ্গি দমনের কার্যক্রমকে আরো কঠোর এবং বিশ্বাসযোগ্য করতে হবে।        


 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন