শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বিকল ওভারলোড মেশিন সচল রেখেছে ওভার ইনকামের চাকা

প্রকাশের সময় : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে : ওভারলোড কন্ট্রোল স্কেল বিকল থাকার সুযোগে টানা চারমাস ধরে অতিরিক্ত মালবোঝাই যানবাহনের যাতায়াত ঘিরে অবৈধভাবে ওভার ইনকাম চলছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা-গোমতী ব্রিজের টোলপ্লাজায়। প্রায় চারবছর আগে ব্রিজ দুটি রক্ষার্থে দাউদকান্দির টোল প্লাজায় স্থাপন করা হয় ওভারলোড কন্ট্রোল স্টেশন। বর্তমানে মেঘনা-গোমতী ব্রিজের ওভারলোড কন্ট্রোল স্কেল বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত মালবোঝাই যানবাহনগুলো অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে ব্রিজ দুটি ব্যবহার করছে। বিকল ওভারলোড মেশিন ঘুরিয়ে দিচ্ছে ব্রিজে দায়িত্বরতদের ওভার ইনকামের চাকা। কেবল তাইই নয়, ব্রিজ দুটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অন্য সব ধরনের যানবাহন থেকে আদায় করা হচ্ছে নির্ধারিত অংকের চেয়ে অতিরিক্তি টোল।
মেঘনা-গোমতী ব্রিজের ওভারলোড কন্ট্রোল স্কেল বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত পণ্যবোঝাই যানবাহনগুলো ব্রিজ দুটি দিয়ে অবাধে চলাচল করছে। ফলে ধারণ ক্ষমতার বেশি ওজনের যানবাহন চলাচলে দিন দিন আরও ঝুঁকিপ্রবণ হয়ে উঠছে ব্রিজ দু’টি। অতিরিক্ত পণ্য বোঝাই যানবাহন থেকে অতিরিক্ত অর্থও হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ নারায়ণগঞ্জ জোনের পক্ষ থেকে ওভারলোড কন্ট্রোল স্কেল বিকলের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার চারমাস অতিবাহিত হলেও তা সচল হয়নি।
অপরদিকে কুমিল্লার দাউদকান্দি মেঘনা-গোমতী ও মেঘনা ব্রিজের বর্তমানে টোল আদায়ের দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা জোনের নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। তাদের হয়ে নীতিমালা লংঘন করে ব্রিজ দুটিতে চলাচলকারি যানবাহন থেকে অতিরিক্তি হারে টোল আদায় করছে সিএনএস টেকনোলজি নামের একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এ প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বররত কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ইফতেখার বলেন, আমরা গত চারমাস ধরে সড়ক ও জনপথের অধীনে জনবল সাপ্লাইয়ের কাজ করছি, অতিরিক্ত টোল আদায় করছি না। ওই কর্মকর্তার বক্তব্যে সঙ্গে কাজের মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। কেননা, টোলের রসিদে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নাম নেই। সিএনএস নামক প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ রয়েছে টোলের রসিদে। সিএনএস টেকনোলজি নামের প্রতিষ্ঠান কর্তৃক টোল আদায় অবৈধ দাবি করে গত বছরের ১৯ অক্টোবর ইনফ্রাটেক কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লি. নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হাইকোর্ট পিটিশন দাখিল করেন। মামলাটি বর্তমানে চলমান রয়েছে।
ব্রিজ ব্যবহারকারি কয়েকজন যানবাহন চালকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, টোল আদায়কারী কর্তৃপক্ষ যাত্রীবাহী বাস, মালবাহী ট্রাক, কার্গো, মাইক্রোবাসসহ হালকা ও ভারী বিভিন্ন যানবাহন থেকে কম্পিউটার রশিদের মাধ্যমে টোল আদায় করছেন ঠিকই। কিন্তু তারা টোল আদায়ের রসিদে গাড়ির নাম্বার ও গাড়ির ধরন উল্লেখ করেন না। চালকরা আরও জানান, হোমনা পরিবহন, গজারিয়া, মতলব, ইলিয়টগঞ্জ ও বিনোদনসহ বিভিন্ন পরিবহনের ড সিরিয়ালের গাড়ি থেকে ১৮০ টাকার স্থলে ৫০০ টাকা এবং ঢ সিরিয়ালের চার চাকার মালবাহী ট্রাক থেকে ৫০০ টাকার স্থলে ১২০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। অতিরিক্ত টোল আদায়ের বিষয়ে একাধিক পরিবহন মালিক সেতুমন্ত্রী, নৌ মন্ত্রী, সচিবসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরও কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন