দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং এর সংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগরে গতকাল (বুধবার) সন্ধ্যা নাগাদ একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। ধাপে ধাপে এটি ঘনীভূত ও শক্তি সঞ্চয় করে নিম্নচাপে পরিণত হয় কিনা তা পর্যবেক্ষণ করছে আবহাওয়া বিভাগ। তবে এখনও সমুদ্র প্রায় স্বাভাবিক থাকায় বন্দরসমূহকে কোন সতর্ক সঙ্কেত দেখানো হয়নি।
চলতি মে (বৈশাখ জ্যৈষ্ঠ) মাসে বঙ্গোপসাগরে এক বা দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি এবং এরমধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কার কথা জানানো হয় দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে। বৈশাখ প্রায় চার সপ্তাহ খরতাপহীন থাকলেও গত কয়েকদিনের হঠাৎ তাপপ্রবাহ ও উপকূলে ভ্যাপসা গরম সমুদ্রে ঘূর্ণিঝড়ের আলামত বহন করছে।
এদিকে বিদায়কালে খরতপ্ত বৈশাখের ৩০তম দিনে গতকালও দেশের অনেক এলাকায় তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। বিক্ষিপ্ত হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ ও গুঁড়িবৃষ্টি হয়েছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনা বিভাগে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ঈশ্বরদীতে ৩৭দশমিক৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের পরও ঢাকার তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৩৫দশমিক৪ এবং সর্বনিম্ন ২৮দশমিক১ ডিগ্রি সে.। ভ্যাপসা গরমের দাপটে দুর্বিষহ রাজধানীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। গরমে-ঘামে হাঁপাচ্ছে মানুষ।
গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় কুষ্টিয়ায় ৬৩ মিলিমিটার। এছাড়া সিলেটে ৪১, ফেনীতে ৩৪, ফরিদপুরে ১১, কুমিল্লায় ৫ মি.মি.সহ বিভিন্ন স্থানে স্বল্পবৃষ্টি হয়। রাজশাহীতে তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রিতে উঠে গেছে।
আবহাওয়াবিদগণ জানান, দিন-রাতে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে বাতাসে জলীয়বাষ্প বেশিমাত্রায় রয়েছে। যা গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকায় ছিল ৯৫ শতাংশ। এর ফলে ভ্যাপসা অসহনীয় গরমে ঘামছে মানুষ, শরীর পানিশূন্যতায় কাহিল হয়ে পড়ছে।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, খুলনা বিভাগসহ মাদারীপুর, চাঁদপুর, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, বরিশাল ও পটুয়াখালী অঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তো অব্যাহত থাকতে পারে।
আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, দেশের কিছু কিছু স্থানে অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বিচ্ছিন্ন বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকারই সম্ভাবনা রয়েছে। এ সপ্তাহের শেষে বৃষ্টি-বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন