শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস আজ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ মে, ২০২০, ১২:০১ এএম

আজ ১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ১৯৭৬ সালের এ দিনে ভারত নির্মিত ফারাক্কা বাঁধের প্রতিবাদ এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী পদ্মার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে ফারাক্কা অভিমুখে লংমার্চ অনুষ্ঠিত হয়। ওই লংমার্চ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলে দেয়। বিশ্ব মিডিয়াগুলোতে ফলাও করে খবর প্রচার হওয়ায় ভাসানী হয়ে উঠেন আফ্রো-এশিয়ার নেতা।
মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে রাজশাহীর একটি মাদরাসার মাঠ থেকে লাখ লাখ জনতা ফারাক্কা বাঁধ অভিমুখে লংমার্চ শুরু করেন। সে সময় চুক্তি অনুযায়ী পানির ন্যায্য হিস্যার দাবি পূরণ না হওয়ায় মরুকরণের দিকে যাচ্ছিল বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল। সে অবস্থার এখনো পরিবর্তন হয়নি। ১৯৯৬ সালে ফারাক্কার পানি ভাগাভাগির বিষয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে নতুন করে ৩০ বছর মেয়াদি চুক্তি হলেও বাংলাদেশ পানি পায়নি।
১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে মাত্র ১৮ কি.মি. দূরে ভারতের মনোহরপুরে ভারত ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করে। বাঁধ দিয়ে গঙ্গার পানি অন্যত্র সরিয়ে দেয়ায় পদ্মায় পানি প্রবাহ হারিয়ে ফেলে। ফারাক্কা বাঁধের কারণে সারাবছরই পদ্মানদী থাকে নাব্য সঙ্কটে। জানা যায়, ১৯৯৬ সালের পর রাজশাহী পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপদসীমা ছুঁয়েছে মাত্র দু’বার। পর্যাপ্ত পানি না থাকায় পদ্মানদী ঘিরে যাদের জীবিকা চলতো তারা পরিবর্তন করেছেন পেশা। পানির অভাবে পরিবেশ ও কৃষির ওপর পড়েছে বিরূপ প্রভাব ।
১৯৯৬ সালে ভারত-বাংলাদেশের ৩০ বছর মেয়াদী চুক্তি অনুযায়ী খরা মওসুমের জানুয়ারি মাস হতে মে মাসের মধ্যে ৩৫ হাজার কিউসেক পানি দেবার কথা বাংলাদেশকে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, ২০০১ সাল ২০১৫ সাল পর্যন্ত চুক্তি অনুযায়ী পানি মিলছে মাত্র ৩ বছর।
পানি বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে উজানে একাধিক বাঁধ দিয়ে ভারত পানি প্রত্যাহার করে নেয়ায় ফাল্গুন-চৈত্র মাসে ফারাক্কা পয়েন্টেই পানির সঙ্কট দেখা দেয়। এ অবস্থা চলতে থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল মরুভূমি হতে যেতে পারে।
প্রতিবছর ফারাক্কা দিবস পালিত হলেও এবার করোনার কারণে দিবসটি পালিত হবে ঘরোয়াভাবে। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বিবৃতির মাধ্যমে পানির নায্য হিস্যা দাবিতে ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারকে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন