বেসরকারি হাসপাতালগুলো এই করোনা মহামারিতে সেবা না দিয়ে বরং বাণিজ্যমুখী আচরণ করছে- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ´এটা খুবই দুঃখজনক, বেসরকারি হাসপাতালগুলো করোনারোগীদের সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে যেভাবে এগিয়ে আসা প্রয়োজন ছিলো, সেভাবে আসেনি। অনেকগুলো হাসপাতাল তারা নিজেরাই অনেকটা বন্ধ করে রেখেছে। সেখানে কোনো করোনারোগী গেলে সেবা দেয়া তো দূরের কথা, তাকে অন্য কোথাও ঠেলে দেবার চেষ্টা চলছে, যা আমরা প্রতিনিয়ত পত্রিকায় দেখতে পাচ্ছি।´
শনিবার (১৬ মে) দুপুরে ঢাকায় তথ্যমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবদানকালে তিনি বলেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলোর এ আচরণ অত্যন্ত অমানবিক, কারণ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয় মানুষকে সেবা দেয়ার জন্য´ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, হাসপাতালের উদ্দেশ্য যদি বাণিজ্য হয়, তাহলে তাকে হাসপাতাল বলা কঠিন।
এছাড়াও আমরা দেখছি, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো হাসপাতালকে যখন ভাড়া নেবার কথা বলা হয়, তখন অস্বাভাবিক অর্থ দাবি করা হয়, বলেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, ২০০ বেডের একটি হাসপাতাল মাসে ১৭ কোটি টাকা দাবি করেছে, এবং একইসাথে ডাক্তার-নার্সদের থাকা-খাওয়ার টাকাও দাবি করেছে, যা অস্বাভাবিক।
এই সময়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলো বাণিজ্যের মানসিকতা পরিহার করে সেবার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসবে -আশাপ্রকাশ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কিছু কিছু বেসরকারি হাসপাতাল এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম, তারা মানুষের সেবায় এগিয়ে এসেছে, তাদেরকে আমি ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই, এবং অন্যদের বলবো, তাদের অনুসরণ করতে
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন