শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নতুন ডাইনোসরের ফসিল আবিষ্কার

প্রকাশের সময় : ২৩ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিভ্রান্ত বিজ্ঞানীরা
ইনকিলাব ডেস্ক : গত সপ্তাহে মার্কিন বিজ্ঞানীরা নতুন ধরনের একটি ডাইনোসরের জীবাশ্ম আবিষ্কার করেছেন। টিরানোসরাস এক্স-এর মতো দেখতে এই ডাইনোসরদের হাত আপনাআপনি গজিয়ে ওঠে, যা বিস্মিত করেছে বিজ্ঞানীদের।
মার্কিন বিজ্ঞানীরা বলছেন, আর্জেন্টিনায় পাওয়া এই দু’পায়ের জীবটির ফসিলের দৈর্ঘ্য প্রায় ২৬ ফুট। এদের ওজন সাধারণত ৪৫০ কেজি। জীবাশ্মটি উত্তরাঞ্চলের রিও নেগ্রো প্রদেশে পাওয়া গেছে। সেখানে এ ধরনের ডাইনোসর গুয়ালিচো নামে পরিচিত। সেখানে বসবাসরত আদিবাসী তেহুয়েলচে সম্প্রদায় য়ালিচো বলতে প্রাণি ও বাতাসের শক্তিকে বোঝায়। প্রস্তরযুগের ডাইনোসরদের সবারই যে ধরনের হাত থাকে এরা তা থেকে ভিন্ন। এদের হাতও দেহের তুলনায় ছোট কিন্তু হাত আপনা-আপনি গজায়।
তাই এদের কোনো নির্দিষ্ট ক্যাটেগরিতে ফেলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। হাত খসে যাওয়ার পরও কীভাবে তা আবার গজিয়ে ওঠে এ বিষয়টি গবেষণা করার পরই তাদের একটি নির্দিষ্ট ক্যাটেগরিতে ফেলা যাবে বলে জানিয়েছেন তারা। এটি থেরোপড প্রজাতির ডাইনোসর, যে ধরনের ডাইনোসর দুই পা বিশিষ্ট এবং পাখির মতো। তাই টিরানোসরাস এক্স-এর সঙ্গে এদের মিল থাকলেও এরা যে একই প্রজাতি নয় তা বোঝা যায়। নাইজারে এ ধরনের একটি ডাইনোসরের ফসিল পাওয়া গিয়েছিল। ডেল্টাড্রমেয়াস নামের ঐ ডাইনোসর এদের পূর্বপুরুষ বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, এত বড় একটি দেহ এবং বিশাল একটা মাথা সত্ত্বেও এদের হাতের আকার যেন দেহের সাথে মোটেও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। আর হাতে আঙ্গুল মাত্র দুটো।
জার্নাল প্লাস ওয়ানে এই গবেষণা প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষণার ফলাফলে যা বেরিয়ে এসেছে, তাতে বোঝা যায় টিরানোসরাস এক্স, গুয়ালিচো’র মতোই মাংসাশী এবং ২ কোটি ৫০ লাখ বছর আগে উত্তর অ্যামেরিকায় এদের বাস ছিল।
গবেষণায় বলা হয়েছে, সমতল ভূমিতে, যেখানে প্রায়ই বন্যা হতো, এমন জায়গায় ছিল এসব ডাইনোসরদের বাস। তাদের সঙ্গে বৃহৎ আকৃতির অন্য ডাইনোসররাও চলাফেরা করত ঐ অঞ্চলে। এসব বৃহদাকৃতির ডাইনোসরের মধ্যে ছিল লম্বা ঘাড় ও চার পা বিশিষ্ট তৃণভোজী আর্জেন্টিনোসোরাস। এদের দৈর্ঘ্য ছিল ১১৫ ফুটের মতো।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ৯ কোটি বছর আগে যেসব ডাইনোসর ছিল, তাদের বিশাল মাথা এবং ধারালো দাঁত শিকারের কাজে ব্যবহৃত হতো। হাতের কাজ খুব একটা ছিল না। যতদিন না মাথার সাথে তাদের লেজের সামঞ্জস্য হয়েছে, ততদিন হাতের কোনো ব্যবহার না থাকায় হাত দেহের তুলনায় এত ছোট ছিল। সূত্র : ডি ডব্লিউ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন