চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে। সেই সাথে মহানগর ও জেলার কিছু এলাকা বিপজ্জনক হট স্পট হয়ে উঠছে। এসব এলাকায় বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। ঈদের ছুটিতে স্বাস্থ্যবিধি মানা না হলে সংক্রমণ আরও ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় জনমনে উদ্বেগ উৎকন্ঠা বাড়ছেই।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হিসাবে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আক্রান্ত এক হাজার ২২৮ জনের মধ্যে নগরীর বাসিন্দা ৯২০ জন। ৩০৮ জন বিভিন্ন উপজেলার। সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে নগরীর দামপাড়া, হালিশহর, পাহাড়তলীতে। আর জেলার কোন উপজেলা এখন আর করোনামুক্ত নেই। তবে হট স্পট হয়ে উঠেছে পটিয়া (৫১ জন), লোহাগাড়া (৪৩), সীতাকুÐ (৪১), সাতকানিয়া (৩৪) ও হাটহাজারী (৩৫)।
চট্টগ্রামে সব বয়সের মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। আক্রান্তদের ৬৮ শতাংশের বয়স ২১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। এ পর্যন্ত সুস্থ হওয়ার হার ১১ শতাংশ আর মৃত্যুর হার চার শতাংশ। আক্রান্তদের মধ্যে ৯৩৯ জন পুরুষ এবং ২৮৯ জন মহিলা। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৪৫ জন। গতকাল ৬জনসহ সুস্থ হয়েছেন ১৪৬ জন।
উপসর্গ নিয়ে ইন্তেকালের পর বায়তুশ শরফের পীর মাওলানা কুতুব উদ্দিন ও জেলা পুলিশের সদস্য মোখলেছুর রহমানের নমুনায় করোনা পজেটিভ আসে বলে জানান সিভিল সার্জন। গতকাল উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও দুজন।
এদিকে করোনা চিকিৎসায় চমেক হাসপাতালে একশ শয্যা চালু হচ্ছে। গতকাল সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এ আইসোলেশন ওয়ার্ড উদ্বোধন করেন। এসময় বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির, চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এস এম হুমায়ুন কবির, সিভিল সার্জন ডা. ফজলে রাব্বি উপস্থিত ছিলেন।
পরে হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ড উদ্বোধন করেন মেয়র। সেখানে ১১ শয্যার আইসিইউসহ ১০০ শয্যায় করোনা চিকিৎসা দেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন