স্টাফ রিপোর্টার : পবিত্র কোরআন আমাদের মাথার মুকুট। কোরআন, হাদীস অনুসরণ করে ইমাম, আলেম ও খতিবগণ যুগ যুগ ধরে মানুষকে শান্তি ও সম্প্রীতির পথে পরিচালিত করেছেন। বর্তমানেও মসজিদ থেকে ইসলামের প্রকৃত বাণী প্রচার হচ্ছে।
জুমার বয়ানে যে আলোচনা স্বতঃস্ফূর্তভাবেই খতিব সাহেব করেছেন, যদি এ বার্তাটিই সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়া হয় তাহলে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মানুষ সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ হবে। গত পরশু জুমার নামাজের আগে গুলশান আজাদ মসজিদে মুসল্লীদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি এসব কথা বলেন। তিনি দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষকে আশ্বস্ত করেন যে, সরকার খুতবা নিয়ন্ত্রণ করছে না। অনেকে বাড়াবাড়ি বক্তব্য দিয়ে পরিবেশ উত্তপ্ত করছে, বলছে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রেরিত খুতবা না পড়লে ব্যবস্থা নেয়া হবে অথচ সরকার এমন কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি। ইমামগণ চাইলে এ খুতবার অনুকরণ বা অনুসরণ করতে পারেন। কোরআন সুন্নাহর আলোকেই খুতবা চলে আসছে, চিরদিন এভাবেই চলবে।
আজাদ মসজিদের খতিব আল্লামা মাহমুদুল হাসান তার বয়ানে বলেন, মসজিদ থেকে শুধু সন্ত্রাসবাদ নয়, সব ধরনের অন্যায়-অনাচার ও গুনাহের কাজের বিরুদ্ধে বয়ান করা হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সন্তানদের ধর্মীয় শিক্ষা দিন। সন্ত্রাস ও দুর্নীতি বন্ধে তার এ কথার উপর জোর দিতে হবে। ইসলামের পবিত্র জিহাদ আর বর্তমান সন্ত্রাস এক জিনিস নয়। জাতীয় শিক্ষানীতি ও পাঠসূচিতে যেসব ধর্মবিরোধী বিষয় রয়েছে, এতে সমাজে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ছে কিনা সেটাও দেখতে হবে এবং প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের আলোকে শিক্ষানীতি ও পাঠ্যসূচি সংশোধন করতে হবে। খুতবা আল্লাহর রাসূল (সা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, সাহাবীগণ, তাবেয়ীগণ এবং যুগে যুগে মুসলিম মনীষীগণের বর্ণিত খুতবা রয়েছে, এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ ইমাম-খতিবদের নেই। সুতরাং বাংলা বয়ান আর খুতবা এক নয়। আরবী খুতবায় ইমামগণ নির্দিষ্ট ছকের বাইরে যেতে পারেন না। অতএব, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের খুতবা তৈরি ও বিতরণ কোন অর্থ রাখে না। এতে সরকারের ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তারা খুতবা-পূর্ব বাংলা বয়ানের জন্য কোন বিষয়বস্তু প্রস্তাব করতে পারে, তবে আরবী খুতবায় হাত দেয়া তাদের কাজ নয়, কারণ আরবী খুতবা জুমার নামাজের অংশ এবং ইবাদত। সরকারের জন্য ক্ষতি হয় এমন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা বা শ্রদ্ধেয় ইমাম-খতিবদের ব্যাপারে কঠোর মন্তব্য করা কারো পক্ষেই উচিত হবে না। দেশের ইমাম ও আলেমগণ অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিপক্ষে ছিলেন, আছেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন। তাদের হেনস্থা বা অপমান করে কোন ভালো ফল পাওয়া যাবে না। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে, তাদের আস্থায় রেখে ইতিবাচক সহায়তা নিয়েই সন্ত্রাস ও পাপাচার দূর করতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন