শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

তদন্তকারী ও গোয়েন্দাদের দেয়া তথ্য দেশীয় জঙ্গিরা গুলশান হামলা চালায়

প্রকাশের সময় : ২৪ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নিহত জঙ্গিদের ডিএনএ-চুল পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর জঙ্গিদের পরিচয় আরো নিশ্চিত হওয়া যাবে : হামলার সমন্বয়ের ভূমিকায় ছিল জেএমবির শীর্ষ নেতা সালাউদ্দিন, সোলায়মান ও রাজীব
স্টাফ রিপোর্টার : গুলশান হামলার পরিকল্পনার সাথে একাধিক বিদেশী চরমপন্থী জঙ্গি সংগঠন জড়িত। তাদের পরামর্শে দেশীয় তিনটি জঙ্গি সংগঠন গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায়। এমনকি এই হামলার পেছনে বিদেশে অবস্থানকারী বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত কয়েকজন উগ্রপন্থী নেতার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এছাড়া দেশের কারাগারে বন্দি জঙ্গি নেতাদের সাথেও হামলাকারীদের যোগসূত্র রয়েছে। তাদের নির্দেশেই এই হামলা চালানো হয়। গুলশান হামলায় তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, আইএস নয়, দেশীও জঙ্গি সংগঠনগুলো এ হামলা চালায়। তবে এর পেছনে বিদেশী ও দেশীয় কতিপয় রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ততা রয়েছে। খুব দ্রুত এ রহস্য বের হবে। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তাদের কাছে রয়েছে, তবে তদন্তের স্বার্থে এখন তা প্রকাশ করা হচ্ছে না। গুলশান হামলায় নিহত জঙ্গিদের ডিএনএ ও চুলের পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর হামলাকারীদের সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানা যাবে। সকল রহস্য বের হবে, শুধু সময়ের ব্যাপার।
সূত্র জানায়, গুলশান হামলায় সমন্বয়ের ভূমিকা পালন করেছেন জেএমবির শীর্ষ নেতা সালাউদ্দিন ওরফে সালেহিন (২০১৪ সালে তাকে প্রিজন ভ্যান থেকে ছিনিয়ে নেয় জঙ্গিরা), সোলায়মান এবং রাজিব ওরফে শান্ত ওরফে আদিল। তবে তাদের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে গোয়েন্দারা কোনো খোঁজ বের করতে পারেননি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে গোয়েন্দা সংস্থার এক উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা জানান, এখন পর্যন্ত তারা জানতে পেরেছেন হামলার পেছনে কিছু দেশীয় জঙ্গি নেতা এবং জামিনে বা দেশের বাইরে থাকা তাদের কিছু সমর্থক জড়িত রয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, দেশের বাইরে অবস্থানকারী কয়েকজন সম্প্রতি দেশে ফিরে এসেছেন। তবে দেশীয় এই জঙ্গি সংগঠনগুলোর সাথে কুখ্যাত কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর সম্পর্কের ব্যাপারে প্রত্যক্ষ কোনো সূত্র এখনও পাওয়া যায়নি। এ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়ার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো নিখোঁজ ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করছে তাদের অবস্থান এবং তাদের সাথে দেশীয় বা আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের সম্পর্ক খুঁজে বের করার জন্য।
ওই তদন্ত কর্মকর্তা আরো জানান, লস্কর-ই-তাইয়েবা, তেহরিক-ই-তালিবান ও জয়েশ-ই-মোহাম্মদ-এর মতো পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনের কয়েক ডজন সদস্যকে ২০০৮ ও ২০০৯ সালে বাংলাদেশে গ্রেফতার করা হয়েছিল। হিজবুত তাহরির, জেএমবি এবং জয়েশ-ই-মোহাম্মদের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক ২০১০ সালে আবিষ্কৃত হয়। জাপান থেকে নিখোঁজ হওয়া মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ ওজাকি ওরফে আবু মুসার মতো দেশের বাইরে অবস্থানকারী বাংলাদেশী জঙ্গিদেরও গুলশান হামলার সাথে সম্পর্ক রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি গত বছর ঢাকায় গ্রেফতার হওয়া আমিনুল ইসলাম বেগের প্রশিক্ষণদাতা এবং আইএসে সদস্য নিযুক্তকারী হিসেবে জড়িত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সন্দেহভাজন তেহজিব করিমকে তিন বছর আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তবে জামিনে মুক্তি পেয়ে তিনি দেশ ত্যাগ করে বর্তমানে বাইরে অবস্থান করছেন। তেহজিব করিম জেএমবি সদস্য এবং একটি বিমানে বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনায় ২০১১ সালে গ্রেফতার হওয়া ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের সাবেক ইঞ্জিনিয়ার রাজিব করিমের ছোট ভাই।
দুজনই ঢাকাভিত্তিক এনজিও রিসার্চ সেন্টার ফর ইউনিটি ডেভেলপমেন্টের (আরসিইউডি) সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। এই এনজিওটির সাথে জেএমবিসহ আল-কায়েদা ইয়েমেন শাখা ও জামায়েতুল মুসলেমিনের মতো বিদেশী কিছু জঙ্গি সংগঠনের সম্পর্ক ছিল। তেহজিব ইয়েমেনে যেয়ে আল-কায়দা প্রধান আনোয়ার-আল মালিকি এবং তার ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করেন।
গোয়েন্দাদের সন্দেহ, দেশীয় জঙ্গি সংগঠনগুলোকে একই প্ল্যাটফর্মে কাজে আগ্রহী করে তোলার ব্যাপারে বিদেশি জঙ্গি সংগঠনগুলোর সংশ্লিষ্টতা থেকে থাকতে পারে। এমনকি বিদেশি জঙ্গিরা প্রশিক্ষণ ও অর্থায়নের ব্যাপারেও দেশীয় জঙ্গিদের সহযোগিতা দিয়ে থাকতে পারে।
বিদেশি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা, তেহরিক-ই-তালেবান এবং জইশ-ই-মোহাম্মদের মতো সংগঠনের সঙ্গে এবং স্থানীয় জঙ্গিদের মধ্যে যোগাযোগ ঘটিয়ে দিয়ে থাকতে পারে এমন লোকদের তালিকা করে খুঁজতে শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। এজন্য নিখোঁজ ব্যক্তিদের তালিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গুলশান হামলার পেছনে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র ছিল বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হকও। ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, গুলশান হামলার পেছনে বিদেশি সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হলেও এই সন্দেহ তারা বাতিল করে দিচ্ছেন না। তবে হামলাকারীদের সবাই যে বাংলাদেশি এবং বাংলাদেশেই তাদের রিক্রুট করা হয়েছে, তা নিশ্চিত।
এদিকে আনসারুল্লাহর প্রধান জসিম উদ্দিন রহমানী, জেএমবির সাবেক প্রধান সাইদুর রহমান, হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামের প্রধান আবদুর রউফ এবং কারাগারে বন্দি আরও কিছু জঙ্গি নেতা এই হামলায় জড়িত আছেন বলেও সন্দেহ তদন্তকারীদের। গুলশান হামলার পর কাশিমপুর কারাগারে জঙ্গি নেতাদের আলাদা আলাদা সেলে রাখা হয়েছে।
সূত্র জানায়, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি), আনসারুল্লাহ বাংলা টিম ও হিযবুত তাহরীরের শীর্ষ নেতারা ২০১৪ সালে গাজীপুরের কাশিমপুরে হাই সিকিউরিটি কারাগারে এক যৌথ প্ল্যাটফর্ম গঠন করে। গণতান্ত্রিক সরকার উৎখাত করে দেশে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠা করাই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য। তবে গুলশান হামলার পরই গোয়েন্দারা এই গ্রুপের সক্রিয়তা সম্পর্কে জানতে পারেন। বন্দি জঙ্গি নেতাদের নির্দেশেই এই হামলা চালানো হয় বলেও ধারণা করছেন তদন্তকারীরা।
গুলশান হামলায় নিহত ছয় হামলাকারীর মধ্যে পাঁচজনকে নিজেদের সদস্য বলে দাবি করেছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। পুরো হামলার দায়ও তারা স্বীকার করে। তবে আইনশৃঙ্খরা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি ছিল, এই হামলার পেছনে দায়ী জেএমবি। তবে পরে এটিকে কয়েকটি জঙ্গি গোষ্ঠীর যৌথ হামলা হিসেবে চিহ্নিত করেন গোয়েন্দারা।
তদন্ত কর্মকর্তাদের সূত্রে আরও জানা যায়, তাদের সন্দেহ পাকিস্তান ও আফগানিস্তানভিত্তিক কয়েকটি উগ্রপন্থী সংগঠনও গুলশান হামলাকারীদের সাহায্য করেছে। পাকিস্তান ও মালয়েশিয়ায় অবস্থানকারী কয়েকজন জঙ্গিনেতাও এই হামলার ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছে। পুরো রহস্যের কিনারা এখনও না হলেও তদন্তকারীদের দাবি, তারা কয়েকজন পরিকল্পনাকারী, সমন্বয়কারী ও অন্তত দুইজন অর্থদাতাকে চিহ্নিত করতে পেরেছেন।
এখন পর্যন্ত এই হামলার পরিকল্পনায় সহযোগিতাকারীদের মধ্যে যাদের নাম এসেছে তাদের মধ্যে রয়েছেনÑআনসারুল্লাহর নেতা এবং সেনাবাহিনীর পদচ্যুত মেজর সৈয়দ এম জিয়াউল হক ও ইজাজ আহমেদ (তারা দুজনেই বাংলাদেশে আইএসের সমন্বয়কারী হিসেবে পরিচিত), জেএমবির নেতা তেহজিব করিম, আনসারুল্লাহ ও জেএমবি প্রতিষ্ঠায় মূল ভূমিকা পালনকারী এবং একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রেজাউর রাজ্জাক।
জানা গেছে, গুলশান হামলার আগে তারা ঘন ঘন দেখা করতেন। এখন তাদের ২৪ ঘণ্টা নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলেও কারাগার সূত্রে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা আরও জানান, জামিনে মুক্ত এবং বিদেশে অবস্থানকারী আরও কয়েকজন জঙ্গি নেতার সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে গুলশান হামলায়।
এক কর্মকর্তা জানান, ‘এ রকম জঙ্গি নেতাদের কয়েকজন সম্প্রতি দেশে ফিরে এসেছেন। তবে এখন পর্যন্ত আমরা দেশীয় জঙ্গি সংগঠনগুলোর সঙ্গে বিদেশি কোনো জঙ্গি সংগঠনের সরাসরি যোগাযোগের ক্লু পাইনি।’
আইসের একটি ভিডিওতে আরও হামলার হুমকি দিতে যাদের দেখা গেছে, তারাও আনসারুল্লাহ ও হিজবুত তাহরীরের সদস্য ছিল বলে দাবি গোয়েন্দাদের। তারা দাবি করেন, পাকিস্তানের কোনও সীমান্ত এলাকায় ওই ভিডিও ধারণ করা হয়ে থাকতে পারে। যদিও আইএস দাবি করেছে, ভিডিওটি হয়েছে সিরিয়ার রাকা শহরে।
গোয়েন্দারা গত নভেম্বরে ইদ্রিস শেখ নামের একজনসহ চার জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতার করে। এর মধ্যে পাকিস্তানি হাইকমিশনের কর্মকর্তা ফারিনা আরশাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ইদ্রিসের। ইদ্রিস তার জবানবন্দিতে জানায়, ফারিনা বাংলাদেশে জেএমবির সদস্যদের জঙ্গি তৎপরতা চালানোর ব্যাপারে পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করেছেন। এর পরই পাকিস্তান সরকার ফারিনাকে বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাহার করে নেয়।
হিযবুত তাহরীর, জেএমবি ও পাকিস্তানভিত্তিক দল জইশ-ই-মোহাম্মদÑএই তিন সংগঠনের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়টি ২০১০ সালেই প্রকাশিত হয়।
বাংলাদেশী যেসব জঙ্গি বিদেশে অবস্থান করছে, গুলশান হামলায় তাদের সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। জাপান থেকে নিখোঁজ বাংলাদেশি সন্দেহভাজন জঙ্গি মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ ওজাকি ওরফে আবু মুসার সঙ্গে আইএসের রিক্রুটার ও প্রশিক্ষক আমিনুল ইসলাম বেগের যোগাযোগ ছিল বলে জানা গেছে। বেগ গত বছর ঢাকায় গ্রেফতার হয়।
তেহজিব করিম নামের একজনকে গোয়েন্দারা সন্দেহের তালিকায় রাখলেও তিন বছর আগে তিনি জামিন নিয়ে দেশ ছেড়ে চলে যান। তার ভাই ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের আইটি প্রকৌশলী রাজিব করিম ‘জেএমবি’ সদস্য হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি একটি বিমান উড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ২০১১ সালে কারাদ- পান। এই দুই ভাইয়েরই রিসার্চ সেন্টার ফর ইউনিটি ডেভেলপমেন্ট (আরসিইউডি) নামের একটি এনজিওর সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল। এনজিওটির সঙ্গে জেএমবি, জামায়াতুল মুসলেমিন ও ইয়েমেনভিত্তিক জঙ্গি দল আল কায়েদা ইন অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলার (একিউএপি) সংযোগ ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। তেহজিব ইয়েমেনে গিয়ে তার ভাইয়ের সঙ্গে একিউএপির প্রধান আনোয়ার আল-আওলাকির যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। র‌্যাব প্রকাশিত ২৬২ জন নিখোঁজের তালিকায় তেহজিবের নাম আছে।
বনানীতে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেজাউর রাজ্জাক আরসিইউডিরর পেছনে মূল ভূমিকা পালন করেছেন এবং জেএমডিবর কার্যক্রম বিস্তারে সাহায্য করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি জর্ডানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুসলেমিনের বাংলাদেশ শাখা খোলার ব্যাপারে সাহায্য করেছেন বলেও জানান গোয়েন্দারা।
গোয়েন্দারা জানান, ২০১৩ সালে ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যায় আরসিইউডির অন্তত দুই সদস্য জড়িত ছিল।
গুলশান হামলার পেছনে সন্দেহভাজনদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডীয় নাগরিক তামিম আহমেদ চৌধুরীর নাম। তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, আফগানিস্তানে নিজের লিংক কাজে লাগিয়ে তিনি গুলশান হামলাকারীদের সঙ্গে আইএসের যোগাযোগ করিয়ে দিয়ে থাকতে পারেন।
গত এপ্রিলে আইএসের প্রোপাগান্ডা ম্যাগাজিন ‘দাবিক’-এ তামিমকে বাংলাদেশে তাদের (আইএসের) প্রধান বলে উল্লেখ করা হয়। ২০১৩ সালে তামিম কানাডা থেকে নিখোঁজ হন এবং তার বর্তমান অবস্থান অজানা। র‌্যাবের নিখোঁজের তালিকায় তার নামও রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন