যুক্তরাজ্য গমণ করেছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রবীণ রাজনীতিবিদ এম মোরশেদ খান। করোনা মহামারী সংক্রমণ পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকায় ভাড়া করা একটি উড়োজাহাজে স্বন্ত্রীক যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি।
সাবেক সফল এ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর জন্য দোয়া এবং শুভকামনা করছেন তার এলাকাসহ বৃহত্তর চাটগাঁবাসী। চট্টগ্রামের বনেদী পরিবারের সন্তান প্রথম প্রজন্মের শিল্পপতি তিনি। এলাকার উন্নয়ন, কর্মসংস্থান এবং সমাজ সেবায় তার অবদান রয়েছে।
জাপান রাষ্ট্র ও সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে তিনি তার ক্যারিশমেটিক যোগ্যতায় সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। জাপানের সাথে সুসম্পর্ক থেকে তিনি কালুরঘাট শিল্প এলাকায় প্রথমে প্যাসিফিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং পরে দ্যা প্যাসিফিক ইন্টারন্যাশনাল কনসালন্স গড়ে তোলেন। টেলিযোগাযোগ, ব্যাংকসহ আর্থিক খাতের ব্যবসাও তিনি ছিলেন এদেশে পাইওনিয়ার।
রাজনীতিতেও সফল তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে ‘পূর্বমুখী অর্থনৈতিক কূটনীতি’ অনুসরণের মাধ্যমে বিচক্ষণতার স্বাক্ষর রাখেন তিনি। বিএনপির সাবেক এ ভাইস চেয়ারম্যান বেশ কয়েক বার চট্টগ্রামের চান্দগাঁও -বোয়ালখালী আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এলাকার গণমানুষের সাথে এখনও তার সুসম্পর্ক যোগাযোগ অটুট রয়েছে।
দেশে ক্রমবর্ধমান করোনা মহামারী সংক্রমণের মধ্যে এম মোরশেদ খানের
বিদেশ যাওয়াকে স্বাস্থ্যসতর্কতার প্রেক্ষিতে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন এলাকাবাসী। চট্টগ্রাম নগরীর চট্টেশ্বরী রোডে তার বাসভবন এভন হাউসসহ এলাকার মানুষের আলাপ চারিতায় তার বয়স এবং স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টিও উঠে আসছে। অশীতিপর প্রবীণ এ নেতার সার্বিক সুস্থতার জন্য প্রাণ খুলে
দোয়াও করছেন অনেকে।
প্রসঙ্গত এম মোরশেদ খান এ দেশের কিংবদন্তী শিল্পপতি মরহুম এ কে খানের ভাগ্নে এবং সাবেক শিল্পমন্ত্রী এ এম জহিরুদ্দিন খানের বেয়াই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন