শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

এমপি এনামুলের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

রেজাউল করিম রাজু | প্রকাশের সময় : ৩ জুন, ২০২০, ১২:০১ এএম

রাজশাহী-৪ আসনের (বাগমারা) এমপি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে আবার হঠাৎ ছাড়াছাড়ির বিষয়টা নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস পরবর্তীতে সেই সূত্র ধরে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর শুরু হয়েছে তোলপাড়। ফেসবুক ও পত্রিকায় তাদের অনেক অন্তরঙ্গ ছবিও প্রকাশ হয়েছে। ফলে গোপন বিয়ে এখন আর গোপন নেই।

লিজা আক্তার আয়েশা নামের এক মহিলা নিজেকে এখনো এমপি এনামুলের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসাবে দাবী করছেন। আর এনামুল হক বলছেন তাকে ডির্ভোস দেয়া হয়েছে। লিজা বলছেন আমি কোন কাগজ পায়নি। বিরোধের কারণ হিসাবে লিজা বলেন, আমি প্রকাশ্যে স্ত্রীর মর্যদা দাবী করার কারনে এমপি সাহেব বিষয়টা অস্বীকার করেছেন। ফলে আমি পরিস্থিতির শিকার হয়ে ফেসবুকে আমাদের অন্তরঙ্গ ছবিসহ বেশকিছু প্রমাণ প্রকাশ করেছি। আমি এমপি সাহেবের রক্ষিতা নয় বিয়ে করা স্ত্রী। লিজার পক্ষ থেকে জানা যায় ২০১৮ সালের ১১ মে তাদের রেজিস্ট্রি বিয়ে হয়েছে। এর আগে ২০১৩ সালে আমাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়।

এ ব্যাপারে ইঞ্চিনিয়ার এনামুল হক এমপির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন বিয়ের বিষয়টা সত্য। দু’বছর আগে দশলাখ টাকা দেনমোহরে আমাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। দেনমোহরের টাকাও পরিশোধ করেছি। বিয়ের পর বুঝতে পারেন তিনি লিজার চাঁদাবাজি ও ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়েছেন। সে বিভিন্ন সময়ে আমার নাম ভাঙ্গিয়ে তদবীর চাঁদাবাজি শুরু করে। একটা এনজিও করে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তাকে নিষেধ করায় আমাকে ব্ল্যাকমেইল করে বিভিন্ন ছবি ফেসবুকে ছাড়ে। অবশেষে বাধ্য হয়ে গত ২৩ এপ্রিল ২০২০ তাকে আইন সম্মতভাবে ডির্ভোস দিয়েছি। সে এখন আমার স্ত্রী নয়। এখন ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে আজেবাজে কথা লিখে ছবি দিচ্ছে। তিনি জানান এর আগেও ডলার নামে প্রবাসী একজনের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে করেছিল। তার বেপরোয়া আচরনের কারণে সে সংসার টেকেনি।
এ ব্যাপারে সাবেক স্বামী ডলারের সাথে আলাপ করা হলে ২০১০ সালের নভেম্বর মাসে লিজার সাথে প্রেম করে বিয়ের কথা জানান। তার উচ্চভিলাস, ব্যবসা বাণিজ্য করা, চলন বলন ও বেপরোয়া আচরণের কারনে আমাদের বিয়ে টেকেনি।

ডলারের সাথে ডির্ভোসের ব্যাপারে লিজা বলেন, এমপি এনামুল হকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার কারণেই সাবেক স্বামী ডলারকে আমি তালাক দিয়েছি। এরপর এমপি সাহেবকে বিয়ে করেছি। ২০১৫ সালে আমি গর্ভবতী হলে এনামুল সাহেব তা নষ্ট করান। লিজা অভিযোগ করে বলেন এমপি এনামুল তার সাথে প্রতারণা করেছে। জীবন নষ্ট করেছে।

এনা প্রোপাটিজের কর্ণধার ইঞ্চিনিয়ার এনামুল হক বলেন, লিজা আমাকে ব্ল্যাকমেইল করার জন্য এসব করছে। প্রতারনা করে বিয়ে করেছে। শোনা যাচ্ছে এর আগে তার একাধিক বিয়ে হয়েছিল। চাঁদাবাজি করে নগরীতে আলীসান বাড়ি করেছে। এনজিও করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তার মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত না হবার জন্য আহবান জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
Md Saidul Islam ৩ জুন, ২০২০, ২:৪৭ এএম says : 0
এনা ভাইয়ের চরিত্র ফুলের মত পবিত্র।
Total Reply(0)
Md Shiful Islam ৩ জুন, ২০২০, ২:৪৮ এএম says : 0
নেতা, ক্ষমতা চিরদিন থাকবে না আল্লাহকে ভয় করেন
Total Reply(0)
Rasedul Islam Rubel ৩ জুন, ২০২০, ২:৪৮ এএম says : 0
ইহা পুরোপুরি সত্য ঘটনা..............
Total Reply(0)
Sumon Islam ৩ জুন, ২০২০, ২:৪৯ এএম says : 0
জাতি জানতে চাই একজন এমপিকে একজন মহিলা কেমনে ব্যাকমিল করে?
Total Reply(0)
Ponir Hossain ৩ জুন, ২০২০, ২:৫০ এএম says : 0
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের অনুরোধ আপনার দলের এমপি আপনি এটা একজন মা হিসেবে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করবেন এইটা আমাদের আপনার উপর বিশ্বাস
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন