কারা, কীভাবে করেছে সূত্র পেয়েছি
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, গুলশান হামলার তদন্তে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। কারা করেছে, কিভাবে করেছে, সেই সূত্র আমরা পেয়েছি। তাদের গ্রেফতার সময়ের ব্যাপার মাত্র। আমরা গুরুত্বপূর্ণ আলামত সংগ্রহ করেছি। সন্দেহভাজন অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। গতকাল রোববার ডিএমপি কমিশনার নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, নিকট অতীতে যেসব ঘটনা ঘটেছে, তা তদন্ত করে রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। সেসব ঘটনার সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে অভিযোগপত্র দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। আমরা হলি আর্টিজানে হামলারও রহস্য উদঘাটন করতে পেরেছি। সবাইকে গ্রেফতার করা সময়ের ব্যাপার। ওভার নাইট এসব হয় না। দিনক্ষণ দিয়ে তদন্ত শেষ করা যায় না। আমরা অচিরেই এসব দোষীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হব। আমাদের মেধাবী অফিসাররা কাজ করছেন। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোর টকশোর সমালোচনা করে কমিশনার বালেন, বিভিন্ন টকশোতে দেখা যায়, আমাদের কর্মকা-কে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য যা করা দরকার সে বিষয়ে আমাদের আইনি ও সাংবিধানিক দায়িত্ব রয়েছে। যারা নাখোশ হন তারা জঙ্গি মদদদাতা হিসাবে চিহ্নিত হবেন। আমরা জীবন বাজী রেখে কাজ করে যাচ্ছি।
বাড়িওয়ালাদের বাড়ি ভাড়া দেয়ার ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে কমিশনার বলেন, এর আগে যেসব হামলার ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোতে দেখা গেছে বাড়িওয়ালারা যথাযথভাবে ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহ করেননি। বাড়িওয়ালারা এটা সরল মনে করছেন নাকি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করছেন তা আমাদের তদন্তের বিষয়। আমি বাড়িওয়ালাদের বলব, ভাড়াটিয়াদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও তথ্য সংগ্রহ করুন। নিকটস্থ থানায় তাদের তথ্য জমা দিন।
কমিশনার বলেন, আপনারা ২০১৩ সালের মে, ২০১৪ সাল জুড়ে এবং ২০১৫ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের সন্ত্রাসী কার্যক্রম দেখেছেন। আমরা সেগুলো নস্যাৎ করে দিয়েছি। এবারের ষড়যন্ত্রও আমরা নস্যাৎ করে দেব।
একটি গোষ্ঠী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গুজবের মাধ্যমে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে উল্লেখ করে কমিশনার বলেন, একটি কুচক্রীমহল জনগণের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে গুজব ছড়াচ্ছে। কেউ গুজব রটিয়ে আতঙ্ক ছড়াবেন না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আপনাদের কাছে তথ্য থাকলে আমাদের দিন। এসব গুজবে কেউ কান দেবেন না।
প্রসঙ্গত, গত ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা চালানো হয়। এতে দেশি বিদেশি ২০ জন নাগরিককে হত্যা করে হামলাকারীরা। নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। সেনাবাহিনীর কমান্ড অভিযানে পাঁচ জঙ্গিসহ ছয় সন্দেহভাজন নিহত হয়। এই ঘটনায় দায়ের করা মামলা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট তদন্ত করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন