শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টর্নেডোর তান্ডব

দুই উপজেলার ৫ গ্রাম লন্ডভন্ড

ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ জুন, ২০২০, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:০৫ এএম, ৭ জুন, ২০২০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হঠাৎ টর্নেডোয় দুই উপজেলার ৫টি গ্রাম লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। গতকাল শনিবার সকালে নাসিরনগরের ৪টি ও সরাইল উপজেলার ১টি গ্রামে টর্নেডো আঘাত হানে। এতে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ সময় ঘর ও গাছচাপায় অন্তত ১০ জন আহত হয়। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত সোহেল মিয়া বুড়িশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের মেম্বার হাবিবা বেগমের দেবর।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, বাতাসের চোটে তিনি আঘাত পেয়ে মারা যান। এদিকে, ক্ষতিগ্রস্থরা খোলা আকাশের নিচে দিনাতিপাত করছে। স্থানীয় প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্থদের প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।

প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার বুড্ডাপাড়া ও নাসিরনগর উপজেলার সদরের পশ্চিমপাড়া এবং আশুরাইল বেনীপাড়া, শ্রীঘর গ্রামের ওপর দিয়ে টর্নেডো বয়ে যায়। এতে দেড় শত ঘরবাড়ি ও গাছপালা ভেঙে পড়ে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কয়েক মিনিটের টর্নেডোতে বেশকিছু ঘরবাড়ি ও গাছপালা ভেঙে পড়ে। এতে কাঁচাপাকা ঘরবাড়ি এবং গাছপালা ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

আশুরাইল গ্রামের বাসিন্দারা জানায়, সকালে আমরা যার যার কর্মে যাওয়ার জন্য বের হচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি আকাশ কালো হয়ে প্রচন্ড বাতাস শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যে আমাদের ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ে। প্রাণ বাঁচানোর জন্য পরিবারের লোকজন নিয়ে নিরাপদ জায়গায় চলে যাই। আশুরাইল গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত মিঠুন মিয়া বলেন, আমার ঘরে ওপরের টিনের চাল ভেঙে নিচে পড়ে যায়। আমি ব্যথা না পেলেও আমার ছেলের পা ভেঙে যায়। প্রবীন বরজু মিয়া বলেন, আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। এসময় বিকট শব্দে আমার ঘুম ভাঙে। দেখি পূর্ব দিক থেকে প্রচন্ড বেগে বাতাস এসে ঘরটিকে মাটিতে শুইয়ে দেয়। ঘরের ভেতরে সব আসবাবপত্র দুমড়ে মুচড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত আউস মিয়া বলেন, আমার ঘর ভেঙে যাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে আছি।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, আমরা সরেজমিন ঘুরে ঘুরে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তালিকা তৈরি করছি। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে নগদ টাকা, চাল ও ঢেউটিন দেয়া হবে।

নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা আশরাফী জানান, ঝড়ে কাঁচা-পাকাসহ শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামগুলো পরিদর্শন করছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন