পুঠিয়ায় সরকারী ত্রাণ চাওয়ায় চেয়ারম্যানের প্রতিনিধির বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করলে চেয়ারম্যান ও তার লোকজনের রোষাণলে পড়েছে ওই ভুক্তভোগী মহিলার পরিবার।
গত বুধবার বিকেলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ২নং পালোপাড়া ওয়ার্ডের-তাহেরের মোড় এলাকায় চেয়ারম্যান আশরাফ খান ঝন্টুর প্রতিনিধি মোতাহার আলীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নারী চামেলী বেগম জানান, আমার স্বামী একজন নরসুন্দরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন থেকে তার সেলুন বন্ধ থাকায় তিনি কর্মহীন হয়ে পড়েন। সরকারী কিছু সহায়তা পাওয়ার আশায় আমি চেয়ারম্যানের লোক মোতাহার আলীর বাড়িতে যাই। সেখানে গেলে তিনি বলেন, তুমি সরকারী সুবিধা পাবে না। কেন আমাকে ত্রাণ দেয়া হবে না জিজ্ঞাসা করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে গলাধাক্কা দিয়ে তার বাড়ি থেকে বের করে দেন। এরপর দড়ি দিয়ে বিদ্যুতের খুঁটির সাথে আমার হাত বাঁধার চেষ্টা করলে পাশের বাজারের লোকজন আমাকে উদ্ধার করে। সে সময় আমার ৬ বছরের মেয়ে সুমনা খাতুন আমার কাছে গেলে তাকেও গলা ধাক্কা দেয় সে।
চামেলী বেগমের স্বামী শরীফুল ইসলাম বলেন, আমার স্ত্রীকে শারীরিক করায় লাঞ্ছিত ঘটনার দিন রাতে থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হয়। এ ঘটনার পরের দিন চেয়ারম্যান আমাকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ডেকে উল্টো গালিগালাজ করেছে। এছাড়া থানায় অভিযোগ দেয়ায় বিভিন্ন ভাবে আমাকে হুমকি দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি মোতাহার আলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ত্রাণ দেয়ার মালিক আমি না। আমি শুধু চৌকিদারদের সাথে থেকে ত্রাণ বিতরণে সহায়তা করি। আর আমি ওই মহিলাকে কোনো মারধর করিনি। বরং ওই মহিলা ত্রাণ না পেয়ে আমাকে গালিগালাজ করেছে।
তবে সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফ খান ঝন্টু ভুক্তভোগীর পরিবারকে হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ওই মহিলা ১০ টাকা কেজি চাউলের তালিকাভুক্ত। যার কারণে তাকে করোনা মহামারির এই সময় বিশেষ সহায়তা দেয়া হবে না।
এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, সরকারী ত্রাণ চাওয়ায় চেয়ারম্যানের লোক একজন অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে লাঞ্চিত করেছে এমন একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন