শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

সরকারবিরোধী মতের ‘জাতীয় ঐক্য’ প্রক্রিয়া শুরু বিএনপির

প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আফজাল বারী : সরকারবিরোধী মনোভাব পোষণ করে এমন সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় পৃথক ‘জাতীয় ঐক্য’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে আরো একধাপ এগিয়েছে বিএনপি। জামায়াত নিয়ে দলের ভেতরে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ার প্রেক্ষিতে গঠিত ২০ দলীয় জোটকে বাইরে রেখেই পৃথকভারে ঐক্য গড়ার এই নতুন উদ্যোগ নিয়েছেস দলটি। কারণ সরকারবিরোধী দলগুলো ওই জোটের শরিক জামায়াত নিয়ে আপত্তি দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জাতীয় ঐক্যের আহ্বানের পর এবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন হওয়া পাঁচ রাজনৈতিক দল যারা সরকারবিরোধী হিসেবে পরিচিত তাদের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলাপ করতে ‘চা-চক্রের’
আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দিতে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি, ড. কামাল হোসেনের গণফোরাম, আ স ম আব্দুর রবের জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বি. চৌধুরীর বিকল্পধারা বাংলাদেশ- এই কয়েকটি দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হবে। এই সংক্রান্ত চিঠির খসড়া তৈরিও হয়ে গেছে।
দলের একাধিক স্থায়ী কমিটির নেতার সঙ্গে আলাপ করে এই তথ্য জানা গেছে। তারা জানিয়েছেন, চিঠির খসড়া প্রস্তুত হয়ে গেছে। যেকোনো সময়ে তা সংশ্লিষ্ট নেতাদের কাছে পাঠানো হবে।
সূত্রটি আরো জানিয়েছে, জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্য গঠনে কী কী করা প্রয়োজন-করণীয় ঠিক করতে এরকম একটি উদ্যোগ চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী সাপ্তাহে এই প্রক্রিয়ার কাজ শুরু হবে।
সরকারবিরোধী যেসব রাজনৈতিক দল যারা নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধনকৃত দলসমূহ এই প্রক্রিয়ায় বিবেচনা করা হয়েছে। গত রোববার গুলশানের কার্যালয়ে খালেদা জিয়া বিষয়টি বিএনপির ঘরনোর পেশাজীবী নেতা অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমদ, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলেছেন।
দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের এক আলোচনা সভায় আলাদাভাবে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার দলীয় উদ্যোগের কথা জানান।
তিনি বলেন, আমরা জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। দলমত নির্বিশেষে আমরা সকলের সাথে আমরা যোগাযোগ করছি। আমরা আশা করছি, এদেশের মানুষ যারা ব্যক্তি পর্যায়ে অনেক সুনামের অধিকারী, যারা মনে করেন জাতীয় ঐক্য করা প্রয়োজন তারা সবাই ঐক্যবদ্ধ হবেন। সরকার যদি এই ঐক্যে না আসে জাতীয় ঐক্য তাদের জন্য বসে থাকবে না।
ইতিমধ্যে খালেদা জিয়া জাতীয় ঐক্য গঠন নিয়ে দলের সমর্থিত পেশাজীবী নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হকও ছিলেন।
বৈঠকের পর রফিক-উল হক ও ডা. জাফরুল্লাহ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, তারা বিএনপি নেত্রীকে জামায়াতের সঙ্গ ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
পেশাজীবী নেতাদের একরকম পরামর্শের পরিপ্রেক্ষিতে জামায়াতকে বাদ দিয়ে জাতীয় ঐক্যের এই নতুন প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।
গত ১ জুলাই গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারীতে বন্দুকধারী সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনার পর ৫ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দলমত নির্বিশেষে সন্ত্রাসবিরোধী জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
খালেদা জিয়ার জাতীয় ঐক্যেও প্রস্তাব নাকচ করে গত রোববার গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আপনি কি মনে করেন না যে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে এখন জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হয়ে গেছে? আমিতো মনে করি জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হয়ে গেছে। যাদের ঐক্য হলে সত্যিকারভাবে সন্ত্রাস দূর করা যাবে, তাদের ঐক্য কিন্তু ঠিকই গড়ে উঠেছে এবং এই ঐক্য থাকবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
আরমান ২৬ জুলাই, ২০১৬, ১:৫৩ পিএম says : 0
বিএনপিকে ধন্যবাদ
Total Reply(0)
জাহিদ ২৬ জুলাই, ২০১৬, ১:৫৩ পিএম says : 0
এগিয়ে যাও। এদেশের জনগণ তোমমাদের সাছে আছে।
Total Reply(0)
বাবুল ২৬ জুলাই, ২০১৬, ১:৫৪ পিএম says : 0
এই প্রক্রিয়াকে আরো গতিশীল করতে হবে।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন