ইনকিলাব ডেস্ক
জার্মানির দক্ষিণাঞ্চলীয় আন্সবাখ শহরে একটি সঙ্গীত উৎসবের বাইরে যে আত্মঘাতী আক্রমণে হামলাকারী নিহত এবং অন্য ১৫ জন আহত হয়েছে। তার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট বা আইএস। জার্মানিতে আশ্রয় পেতে ব্যর্থ হওয়া এক ২৭ বছর বয়স্ক সিরীয় যুবক ওই আক্রমণ চালায়। ব্যাভারিয়ার কর্মকর্তারা বলছেন, আক্রমণকারীর তৈরি একটি মোবাইল ফোন ভিডিও তারা পেয়েছেন যাতে তাকে ইসলামিক স্টেটের নেতা আবু বকর আল-বাগদাদির প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে।
জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ ঘটনার পর জনসমাগমের স্থানগুলোতে পুলিশ পাহারা বাড়ানোর আদেশ দিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটে একটি জনপ্রিয় সঙ্গীত উৎসবস্থলের প্রবেশদ্বারের কাছেই একটি পানশালায়। ব্যাভারিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ঐ ব্যক্তিকে সঙ্গীত উৎসবে ঢুকতে না দেবার পর পরই সে ঐ বিস্ফোরণ ঘটায়। সঙ্গীত উৎসবে সেসময় ২ হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। তিনি আরো জানান, যুবকটি এর আগেও দু’বার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, যুবকটিকে কয়েকদিনে মধ্যেই বুলগেরিয়ায় পাঠিয়ে দেবার কথা ছিল। গত এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যাভারিয়া অঞ্চলে এ নিয়ে তিনটি সহিংস ঘটনা ঘটলো। এর আগে গত ১৮ জুলাই আফগানিস্তান থেকে আসা একজন আশ্রয়প্রার্থী কুড়াল দিয়ে হামলা চালিয়ে পাঁচজনকে আহত করে একটি ট্রেনের ভেতরে। তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়, পরে ইসলামিক স্টেট এ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে। মিউনিখে ২২ জুলাই এক ইরানি-জার্মান বংশোদ্ভূত তরুণ নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ৯ জনকে হত্যা করে, যাদের অধিকাংশই ছিল অভিবাসী। এরপর সে নিজে আত্মহত্যা করে।
রুটলিংগেনে ২৪ জুলাই একজন সিরিয়ান অভিবাসন প্রার্থী চাপাতি দিয়ে এক পোলিশ মহিলাকে হত্যা করে এবং আরো দু’জনকে আহত করে। ওইদিনই রাতে আন্সবাখে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটলো। সূত্র : বিবিসি। (এ সংক্রান্ত আরো খবর পৃষ্ঠা-৬)
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন